সংক্ষিপ্ত
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এই ২০০ একর জায়গার মধ্যে থাকবে শপিং মল, হোম স্টে, ছোট ছোট প্রচুর দোকান, রেস্তোরাঁ। মূল শহরের আশেপাশেই তৈরি করা হবে সেই নতুন শৈল শহর।
বড়সড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার জিটিএ-র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বড় ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন দার্জিলিংয়ের মধ্যে নতুন করে ২০০ একর জায়গায় আরেকটি শহর গড়ে উঠবে। সেখানে থাকবে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সব পরিষেবা।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এই ২০০ একর জায়গার মধ্যে থাকবে শপিং মল, হোম স্টে, ছোট ছোট প্রচুর দোকান, রেস্তোরাঁ। মূল শহরের আশেপাশেই তৈরি করা হবে সেই নতুন শৈল শহর। অনিত থাপাদের পাশে নিয়ে মমতা ঘোষণা করেন পাহাড় উন্নয়ন চায়, শান্তি চায়', 'সেই কারণেই পাহাড় জিটিএ চায়’। মঙ্গলবার দার্জিলিং গিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীদিনে শিল্প থেকে শিক্ষা, সবক্ষেত্রেই প্রচুর উন্নয়ন হতে চলেছে পাহাড়ে। এই উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ সাহায্য করবে। এই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মমতা বলেন 'জিটিএকে ৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। মংপুতে হিল ইউনিভার্সিটি তৈরি হচ্ছে, পাহাড়ে শান্তি থাকলে তবেই অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে’। এদিন পাহাড়ে নবগঠিত জিটিএ বোর্ড শপথ গ্রহণ করে। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন পাহাড়ে অসীম সম্ভাবনা ছিল। এখানে শান্তি থাকলেই উন্নয়ন হবে। কেউ যদি অশান্তির চেষ্টা করে তাহলে তা তিনি বরদাস্ত করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন জিটিএ সদস্যদের প্রতি স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন দার্জিলিং শান্ত থাকুক এটাই তিনি চান। পাহাড়ের মানুষের উন্নয়নের আর সাধারণ মানুষের জন্য জিটিএ কাজ করুন এটাই তিনি চান বলে জানিয়েছেন। পাহাড়ের শান্তি যাতে বজায় থাকে তারও আবেদন জানিয়েছেন পাহাড়ের বাসিন্দাদের কাছে। একই আবেদন জানিয়েছেন জিটিএর কাছেও।
মমতা জানিয়েছেন দার্জিলিঙে ২০০ একর জায়গার উপর ‘নতুন শহর’ তৈরির কথা বলেছেন মমতা। সেখানে তৈরি হবে হোম স্টে, শপিং মল, খাবারের দোকান। কার্শিয়াঙ, কালিম্পঙেও এমন প্রকল্প তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায় ‘‘মিরিকের জন্য অন্য পরিকল্পনা করতে হবে। যাতে ওখানে ইকো-টুরিজম করা যেতে পারে। কারণ ওখানে ভূমিকম্প হয়।’’ চা বাগানে যে সব বাড়ি রয়েছে সেখানে হোম স্টে করার প্রস্তাবও দিয়েছেন। পাহাড়ের মহিলারা গাড়ি চালালে গাড়ি কিনতে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর আশ্বাস, ‘‘২০২৪ সালের শেষে পাহাড়ের সব ঘরে পানীয় জল পৌঁছে যাবে।’’