সংক্ষিপ্ত
- একুশের জুলাইয়ের মঞ্চে সিপিএম, কংগ্রেস নিয়ে ক্ষোভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
- বিজেপি-র সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগ এ রাজ্যে
- একই সঙ্গে দুই দলকে সতর্ক করলেন তিনি
কয়েকদিন আগেই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপি-কে রুখতে বাম কংগ্রেসকে পাশে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি বাম- কংগ্রেস নেতারা। সেই ক্ষোভ থেকেই সম্ভবত এ দিন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে সিপিএম এবং কংগ্রেসকে নিয়ে কিছুটা অভিমানী সুর শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার জন্য সিপিএম এবং কংগ্রেসের সমালোচনা করার পাশাপাশি দুই দলকে সতর্কও করে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।
আরও পড়ুন- 'হিন্দুরা মরছে মরুক', দিলীপের ভাইরাল ভিডিওকে নিশানা মমতার, বক্তব্যে অনড় বিজেপি নেতা
লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপি আঠারোটি আসন পেলেও তাঁকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-র সাফল্যের জন্য সিপিএম এবং কংগ্রেসকেই দায়ী করেছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বিজেপি এখানে একটা পরগাছা দল। কখনও সিপিএম, কখনও কংগ্রেসের কানে কানে উঁকি মারে। আর তিনটে দল এক হয়ে কাজ করছে এখানে। এটা আমরা দেখে নিয়েছি।' শুধু তাই নয়, মমতা অভিযোগ করেন, সিপিএমের হার্মাদরাই এখন বিজেপি-র হয়ে অশান্তি পাকাচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরেও অশান্তির পিছনে সিপিএম থেকে বিজেপি- তে যোগ দেওয়া কর্মীদেরই দায়ী করেন তৃণমূলনেত্রী।
এর পরেই সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতাদের সতর্ক করে মমতা পরামর্শ দিয়ে বলেন, 'যে ডালটায় বসে আছেন, সেটা কাটবেন না। আপনাদের সাইনবোর্ডটাও তো বিজেপি নিয়ে নিয়েছে।' শুধু তাই নয়, এলাকার ভাল সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীরা তৃণমূল করতে চাইলে তাঁদেরকেও ডেকে নেওয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।
এর পাল্টা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেন, 'বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতা থাকা চাই তো। কোমর আগেই ভেঙে গিয়েছে। উনি তাঁদেরকে চা, কফি, মাছ ভাজা খাইয়েছেন। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ হয়নি। এখন কেস, দিয়ে ভয় দেখিয়ে আটকানোর চেষ্টা করছেন। উনি তো বিমান বসুকে জিজ্ঞেস করেছিলেন কেন সিপিএম কর্মীরা বিজেপি-তে চলে যাচ্ছে?'
মমতার বক্তব্যকে গুরুত্ব না দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, 'কেউ কারও কেনা নয়। আগেও বলেছি আবারও বলছি, যাঁরা তৃণমূলের অপশাসন শেষ করতে চান তাঁরা আসুন। নীতি, আদর্শ আলাদা হতে পারে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই। যা হবে পরে আমরা বুঝে নেব। মানুষ আমাদের সঙ্গে এসেছেন বলেই চল্লিশ শতাংশ ভোট পেয়েছি। মানুষ বুঝতে পারছেন, বিজেপি-ই বাংলায় পরিবর্তন আনতে পারবে। তাই যাঁরা আমাদের সঙ্গে এখনও আসেননি, তাঁরাও ভবিষ্যতে বিজেপি-র সঙ্গেই হাত মেলাবেন।'