সংক্ষিপ্ত

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বেলাহায় গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই এলাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধায়নসভা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এই এলাকা থেকে দীর্ঘ দিনের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর কেন্দ্রে এসেও পার্থ চট্টোপধ্য়ায়কে নিয়ে মুখ খুললেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমে গিয়ে গরু পাচারকাণ্ডে ধত অনুব্রত মণ্ডলের ঢালাও প্রশংসা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর এই প্রথম তাঁর গ্রেফতারি নিয়েও মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। 

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বেলাহায় গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই এলাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধায়নসভা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এই এলাকা থেকে দীর্ঘ দিনের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর কেন্দ্রে এসেও পার্থ চট্টোপধ্য়ায়কে নিয়ে মুখ খুললেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র বলেছেন আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়ে অনুব্রত প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। মমতা বলেন, অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়েছে কেন? তিনি আরও বলেন, 'ও কিছু চায়নি, সাংসদ বিধায়ক হতেও চায়নি অনুব্রত। আমি ওকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলাম। তাতেই রাজি হয়নি অনুব্রত।' এখানেই শেষ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অনুব্রতকে প্রত্যেকবার নির্বাচনের সময় নজরবন্দি করে রাখা হয়। যা অনৈতিক বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন সিবিআই অনুব্রতর বাড়িতে গিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অনুব্রতর কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বীরভূমের জেলা সভাপতির শারীরিক অবস্থা ও পরিবারের অবস্থার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ  অনুব্রত। স্ত্রী ক্যান্সারে  আক্রান্ত ছিল। কলকাতা ও বোলপুর যাতায়াত করত। কিন্তু অনুব্রত এতটাই দলের প্রতি অনুগত যে সেই সময়ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে মন দিয়েছিলেন। তারপরেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মমতা এদিন বলেন বিচারাধীন বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। কিন্তু আইন আইনের পথে চলবে। 

তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে স্নেহের কারণে প্রকাশ্যেই 'কেষ্টা' বলে ডাকেন তিনি। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার কার হলেও এখনও পর্যন্ত অনুব্রতকে নিয়ে দল কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের গ্রেফতারির মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে  তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে একই দিনে দল থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছিল। কিন্তু অনুব্রত নিয়ে এখনও চুপ তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কথায় এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় পার্থর দায় ঝেড়ে ফেলে অনুব্রতর পাশেই দাঁড়ালেন।