সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারে সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার কংগ্রেস মুখপাত্রা সুপ্রিয়া শ্রীনাতে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে লুকোচুরি খেলছেন।
কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারে সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার কংগ্রেস মুখপাত্রা সুপ্রিয়া শ্রীনাতে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে লুকোচুরি খেলছেন। তিনি আরও বলেন রাজনীতিকে আড়াল বা অনুসন্ধান বলে কিছু হয় না। কিন্তু প্রতিটি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহি করতে হয়। পল্টা টুইট করে মমতার সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য।
শ্রীনাতে আরও বলেন, 'কেন্দ্রীয় সংস্থা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন মোদীজিকে বাদ দিয়ে অমিত শাহকে টার্গেট করেছেন। আমি জানি যে তিনি এই সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছেন, যে মোদীজি ভাল আর তাঁর বিষয়ে কোনও মন্তব্য কর না।' তারপরই তিনি বলেন তিনি এবিষয় নিশ্চিত যে দিল্লির শাসকদল যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন তাতে মোদীজির পূর্ণ অনুমোদন থাকে। মোদীজির অনুমোদন ছাড়া কিছু হয় না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তারপরই শ্রীনাতে বলেন, 'আপনি যখন প্রধানমন্ত্রীকে ক্লিন চিট দেন, কোথাও আপনি তাকে এমন অভিযোগ থেকে খালাস দিচ্ছেন যার ভিত্তিতে দেশ আজ প্রশ্ন করছে'।
কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী, আর সেই কারণেই বিরোধীরা তাঁর কাছ থেকে জবাব চাইতে পারে। তিনি আরও বলেন, 'শাসকদলের সমালোচনা করা, তাদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন করা আমার ধর্ম ও আমাদের কর্তব্য।' যার অর্থ বিরোধীদের সমালোচনা করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেন তাঁদের নেতা রাহুল গান্ধী নির্ভিক হয়ে সেই কাজটি এখনও করে যাচ্ছেন। প্রবল সমালোচনা, কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতার পরেও তিনি থেমে যাননি। তিনি আরও বলেন, 'বাকি বিরোধীদের মত আমরা এমন কিছু বলে লুকোচুরি খেলতে পারি না, যা পরে ফিরিয়ে নিতে হবে।' তিনি বলেন ভোটবাক্সের কথা মাথায় রেখে বা ভোট ভাগাভাগির কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস রাজনীতি করে না।
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে টুইট করে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য জানিয়েছে, বিজেপি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ক্লিনচিট পাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ তার পুরো সরকার, শীর্ষ মন্ত্রী, দলীয় পদাধিকারী এবং তাৎক্ষণিক পরিবার কেন্দ্রীয় সংস্থার রাডারের অধীনে, কারণ আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে- লুটের জন্য।
মমতা বলেছিলেন, সিবিআই এখন আর প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে নেই। এটির দায়িত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেইজন্য রাজ্যে তদন্তকারী সংস্থার এই সক্রিয়তা নিয়ে তিনি আর প্রধানমন্ত্রীকে জদায়ি করতে রাজি নন। তিনি বলেন 'সিবিআই এখন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে।কলকাতায় ২১টি রেড করেছে ইডি। ১০৮টি কেস করেছে সিবিআই। আমি বিশ্বাস করি না এটা নরেন্দ্র মোদী করেছেন। এটা বিজেপি নেতারা করছেন।' তার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন,'তোমরা বুনো ওল হলে আমি বাঘা তেঁতুল।'প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির বাড়াবাড়ির দিকে নজর দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্ম এবং তার দলের স্বার্থ যেন মিশে না যায়,"