সংক্ষিপ্ত

যে কোনও সময়ে প্রবল বেগে বাংলায় আছড়ে পড়বে এই বিধ্বংসী ঝড়। আতঙ্ক ছড়িয়ে সারা রাজ্যে। কিন্তু তা বলে তো কাজ থেমে থাকতে পারে না। স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও ফণীর সঙ্গে রীতিমতো করেই কাজ চালিয়ে নিয়ে যাবেন বলে ঠিক করেছেন। 
 

রাজ্যজুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। আর কয়ের ঘণ্টার মধ্যেই  ধেয়ে আসতে চলেছে সুপার সাইক্লোন ফণী। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আজ মাঝ রাত থেকে রবিবারের মধ্যে যে কোনও সময়ে প্রবল বেগে বাংলায় আছড়ে পড়বে এই বিধ্বংসী ঝড়। আতঙ্ক ছড়িয়ে সারা রাজ্যে। কিন্তু তা বলে তো কাজ থেমে থাকতে পারে না। স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও ফণীর সঙ্গে রীতিমতো করেই কাজ চালিয়ে নিয়ে যাবেন বলে ঠিক করেছেন। 

বৃহস্পতিবার রাজারহাটে তৃণমূলের এক প্রচার সভায় মমতা জানান, আবহাওয়া খারাপ থাকলেও তাঁকে কাজের জন্য খড়গপুর যেতে হচ্ছে। আগামী কাল ও পরশু বিশেষ করে ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। তা উপেক্ষা করেই খড়গপুরে উদ্দেশ্য়ে রওনা হচ্ছেন মমতা। অর্থাত্ ঝড় আছড়ে পড়লে খড়গপুরেই ঘাঁটি বাঁধতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। 

মমতা এদিন রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে  বলেন, ‘‘আগামী কাল পরশু ঝড়ের পূর্বাভাস আছে। সবাই ভাল থাকবেন। সাবধানে থাকবেন। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী অঞ্চল পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, বীরভুমের মানুষ সতর্ক থাকবেন। প্রশাসনকেও বলা রয়েছে।’’

মুখ্যমন্ত্রী জানান দুর্যোগ হলে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি  বৈঠক করা হয়েছে। যে কোনও সমস্যায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা।  মমতার কথায়, ‘‘আমরা বৈঠক করেছি। আমরা পাশে আছি, থাকব। কিন্তু চাইব যাতে কোনও দুর্যোগ না হোক। তবে দুর্যোগ তো মানুষের হাতে থাকে না। আমরা শুধু দুর্যোগ থামাতে প্রার্থনা করতে পারি।’’

প্রসঙ্গত, আবহাওয়া দফতর থেকে জানিয়েছে, বর্তমানে ফণী অবস্থান করছে পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে। যত সময় যাচ্ছে ততই শক্তি সঞ্চয় করছে এই ঝড়। শুক্র বা শনিবার ঘণ্টায় 85 থেকে 115 কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে এবং 70 থেকে 20 মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশাই নয়, মেঘালয়, মিজোরাম-সহ গোটা অরুণাচলপ্রদেশ ও অসমেও প্রবল বৃষ্টি হতে পারে।