সংক্ষিপ্ত

  • দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের ফের
  • কাজ হারিয়ে অবসাদে আত্মঘাতী যুবক
  • ছেলের মৃত্যুসংবাদে প্রাণ বিসর্জন বাবাও
  • মর্মান্তিক ঘটনা সাক্ষী নবদ্বীপ
     

মৌলিককান্তি মণ্ডল, নদিয়া:  করোনার আতঙ্ক, দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের জেরে ঘটল বিপর্যয়। ছেলের আত্মঘাতী হওয়ার খবরে প্রাণ বিসর্জন দিলেন বাবাও। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নবদ্বীপে। শোকের ছায়া এলাকায়।

আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণে বিপদের আশঙ্কা, এবার দার্জিলিং পাহাড়েও লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত জিটিএ

ছেলের নাম দীপঙ্কর মালাকার ওরফে কানাই। বাড়ি, নবদ্বীপের মাজদিয়া পানশিলা পঞ্চায়েতের বেলতলা পাড়া গ্রামে। একটি হোটেলে কাজ করতেন তিনি। তাঁর বাবা দিলীপের একটি ছোট ব্যবসা ছিল। বাড়ির পুরানো সামগ্রী কেনাবেচা করতেন তিনি। অভাব ছিল, তবে বাবা-ছেলের রোজগারে কোনওমতে সংসারটা চলে যেত। কিন্তু লকডাউনে জেরে সবকিছু উলটপালট হয়ে গেল! 

আরও পড়ুন: 'বিক্ষোভ দেখালেই বাচ্চারা টার্গেট হয়ে যাবে', অভিভাবকদের হুমকি দিল বেহালা ওরিয়েন্ট ডে স্কুল

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, লকডাউন জারি হওয়ার পর হোটেলের কাজ হারান দীপঙ্কর। কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফিরতে আসতে হয় তাঁকে।  দিলীপের ব্যবসাও ভালো চলছিল না। ফলে যতদিন যাচ্ছে, ঘরে অভাবও বাড়ছিল। মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে নিয়ে ফেলেন চরম সিদ্ধান্ত। দিন চারেক আগে বাড়িতে বিষ খান দীপঙ্কর। কিন্তু প্রথমে কিছুই টের পাননি বাড়ির লোকেরা। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার যখন ঘটনাটি জানাজানি হয়, তখন দীপঙ্করকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সেদিন রাতেই মারা যান তিনি। ছেলের মৃত্যুশোক আর সহ্য করতে পারেননি দিলীপ। সবার অলক্ষ্যে বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। বাবা-ছেলের এমন পরিণতিতে শোকাহত পাড়া-প্রতিবেশীরা।