সংক্ষিপ্ত
- বিয়ের পরেও পড়াশোনা চালাতে যেতে চেয়েছিলেন স্ত্রী
- স্ত্রীকে কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন ওই যুবক
- এক সহপাঠীর সঙ্গে ওই মহিলা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ
- স্ত্রীর প্রেমিকই ওই যুবককে খুন করেছে, দাবি পরিবারের
স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের মাশুল দিতে হল এক যুবককে। অন্তত পরিবারের লোকেদের অভিযোগ তেমনই। সোমবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটায় বাড়ির সামনে থেকেই ওই যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের লোকেদের দাবি, স্বামীর এক বন্ধুর সঙ্গেই পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মৃতের স্ত্রী। বন্ধুদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে ওই যুবককে খুন করেছে স্ত্রীর প্রেমিক। ৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সুতাহাটায় থানায়।
মৃতের নাম রাজেশ দলুই। বাড়ি, সুতাহাট হরিণভাষা গ্রামে। মাত্র তিন বছর আগে বিয়ে করেছিলেন রাজেশ। তাঁর স্ত্রী সুদীপ্তার বাপের বাড়ি সুতাহাটা থানারই সাহাপুর গ্রামে। মৃতের পরিবারের দাবি, সুদীপ্তা অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। তাঁর রেজাল্ট যথেষ্ট ভালো। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে সুখেই সংসার করছিলেন রাজেশ। কয়েক দিন যেতে না যেতেই স্বামীর কাছে পড়াশোনার চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সুদীপ্তা। আপত্তি ছিল না রাজেশেরও। বরং সুদীপ্তাকে স্থানীয় একটি কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন তিনি। কিন্তু শেষ কিনা স্ত্রীর ইচ্ছাপূরণ করতে গিয়েই প্রাণ গেল রাজেশ দলুইয়ের!
পরিবারের লোকেদের দাবি, কলেজে পড়তে গিয়েই অতনু নামে এক সহপাঠীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সুদীপ্তা। তিনি আবার রাজেশেরও বন্ধু। ঘটনাটি জানাজানি হতে স্ত্রীর সঙ্গে রাজেশের ঝামেলাও হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গা পৌঁছয় যে, প্রতিদিন রাজেশ নিজেই সুদীপ্তাকে কলেজে নিয়ে যেতেন। মৃতের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, রাজেশে এই আচরণ মেনে নিতে পারেনি সুদীপ্তার প্রেমিক অতনু। বন্ধুদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে প্রেমিকার স্বামীকে খুন করেছেন তিনি। ছেলেকে হারিয়ে শোকে দিশাহারা হয়ে গিয়েছে রাজেশ দলুইয়ের পরিবারের লোকেরা। দোষীদের চরম শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে সুতাহাট থানার পুলিশ।