সংক্ষিপ্ত

  • বিয়ের প্রস্তাব নাকচের মাশুল
  • আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণ মহিলাকে
  • অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত  আদালতে
  • সাজা শোনালেন বিচারক
     

তিন বছর ধরে বিচারপর্ব চলেছে ফার্স্ট ট্যাক কোর্টে। অবশেষে ধর্ষণের মামলায় মিলল সুবিচার। অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত। সঙ্গে ২০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা। খুশি নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার।

আরও পড়ুন: পৈতৃক জমি নিয়ে ভাইদের সঙ্গে বিবাদ, পুলিশি ঝামেলার ভয়ে আত্মঘাতী রিক্সাচালক

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৭ সালের ১৬ অগাস্ট। নির্যাতিতা মহিলা বিবাহিতা। পেশায় তিনি এক বেসরকারি বিমা সংস্থার কর্মী। মুর্শিবাদের রঘুনাথগঞ্জের ফুলতলা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। ঘটনার দিনে রাতে একাই ছিলেন বাড়িতে। ১১টা নাগাদ আচমকাই নির্যাতিতার বাড়িতে হাজির হন সাজিবুর নামে এক যুবক। তারপর? বিবাহিতা ওই মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সে। স্বাভাবিক কারণে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।

আরও পড়ুন: টাকা চেয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলেকে খুনের হুমকি, মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার ২ দুষ্কৃতী

ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ওই মহিলা বিমাকর্মীকে ধর্ষণ করে সাজিবুর। এই ঘটনার পর কিন্তু দমে যাননি নির্যাতিতা। সুবিচারের আশায় পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয় থানায়। গ্রেফতার হয় সাজিবুর। মামলা ওঠে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ফার্স্ট ট্যাক কোর্টে। শুনানি চলে টানা তিন বছর। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয় অভিযুক্ত। শুক্রবার সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক।