সংক্ষিপ্ত
- দাদার সম্পত্তি হাতানোর মরিয়া চেষ্টা
- দশ বছরের ভাইঝিকে ধর্ষণের অভিযোগ কাকার বিরুদ্ধে
- অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরলেন স্থানীয়রা
- চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের লালগোলায়
দাদা প্রয়াত, বউদি ফের বিয়ে করেছেন। সম্পত্তি হাতাতে শেষ কিনা নিজের দশ বছরের ভাইঝিকে ধর্ষণ করল এক ব্যক্তি! স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে পড়ে যাওয়ায় হাতেনাতে ধরাও পড়েছে সে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদের লালাগোলায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাবার মৃত্যুর পর মা ফের বিয়ে করেছেন। পাঁচ দাদা কাজের সুবাদে বাইরে থাকেন। মুর্শিদাবাদে লালগোলায় চণ্ডীগ্রামে পৈতৃক বাড়িতে ঠাকুমার সঙ্গে থাকত নির্যাতিতা ওই বালিকা। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই মা ও ভাইঝিকে উচ্ছেদ করে দাদার বাড়িটি দখল করে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল নির্যাতিতার এক কাকা। ওই বৃদ্ধার উপর রীতিমতো শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত সে। কিন্ত দাঁতে দাঁত চেয়ে সবই সহ্য করে যাচ্ছিল তিনি। দিন কয়েক আগে ঠাকুমার সঙ্গে নির্যাতিতা বালিকা যে বাড়িতে থাকত, সে বাড়ির একটি অংশ অভিযুক্ত ভেঙেও দেয় বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার চকোলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নির্যাতিতাকে ভাগীরথী নদীর তীরে শ্যামপুর এলাকার একটি আমবাগানে নিয়ে যায় তার কাকা। বাগানে একটি কুঁড়ে ঘরে ঢুকিয়ে ওই বালিকাকে ধর্ষণ করে সে। আর ঠিক তখনই ওই কুড়ে ঘরের পাশ দিয়ে জমিতে জল দিতে যাচ্ছিলেন স্থানীয় এক ব্য়ক্তি। জানা গিয়েছে, তাঁর ডাকে আশেপাশের লোকজন কুঁড়ে ঘরের বাইরে জড়ো হন এবং অভিযুক্তকে হাতনাতে ধরে ফেলেন বলে। অভিযুক্তকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। জামিনের আবেদন খারিজ করে ধৃতকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের লালগোলার চণ্ডীপুর গ্রাম। 'গুণধর' কাকার চরম শাস্তি দাবি করেছেন সকলেই।