সংক্ষিপ্ত
মহাবীর মণ্ডল বললেন,"প্রতিদিনই আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করা হচ্ছে। বাড়ি থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।"
চাই জমির দখলদারি।,তাই বৃদ্ধ বাবা-মাকে ঘারধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিল তাঁদের গুণধর বড় ছেলে। অসহায় দম্পতির পাশে দাঁড়ায়নি পুলিশও।
জানা গিয়েছে , মহাবীর মন্ডল (৮৫), তাঁর স্ত্রী রাধারানী মণ্ডল (৭৫)। বাড়ি হবিবপুর থানার দক্ষিণ চাঁদপুর। তাঁদের দুই ছেলে পাঁচ মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের অনেক দিন আগে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাঁরা জানান, বড় ছেলে সুধাংশু মন্ডল এবং তার স্ত্রী সীতা মন্ডলের অত্যাচারে আগেই বাড়ি ছেড়ে আলাদা হয়ে যান ছোট ছেলে গৌতম মন্ডল ও তাঁর পরিবার। নিজেদের ভিটেতেই থাকতেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। কিন্তু কয়েক মাস ধরেই ওই দম্পতির উপর অত্যাচার চালাতে থাকে তাঁর পুত্রবধূ। এই ঘটনায় বড় ছেলে সুধাংশু মণ্ডলের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ।
অত্যাচারের শিকার বৃদ্ধ মহাবীর মন্ডল বলেন, "বড় ছেলে ও পুত্রবধূর অত্যাচারে আমরা দীর্ঘদিন আগেই ছোট ছেলের কাছে চলে যাই। ফলে চেন্নাইয়ে ছিলাম। সেখানকার ভাষা জানি না। থাকতে অসুবিধা হচ্ছিল। বৃদ্ধকালে নিজের ভিটে ছেড়ে থাকতে চাই নি আমরা। তাই নিজের ভিটে হবিবপুর গ্রামের বাড়িতে চলে আসি। কিন্তু সেখানে বড় ছেলে ও তার স্ত্রী যেভাবে অত্যাচার শুরু করেছে তাতে কোনও ভাবে থাকা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করা হচ্ছে। বাড়ি থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।"
পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মহাবীরবাবু । তাঁর দাবি, "পুলিশ প্রথমে অভিযোগ পেয়ে আমাদের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দায় এড়িয়েছে। কিন্তু বড় ছেলে ও তার স্ত্রীর অত্যাচার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে । ওরা আবারও আমাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে । এই অবস্থায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।"
বৃ্দ্ধ মহাবীর মণ্ডলের ভাগ্য এখন মহাকুমা শাসকের হাতে।