সংক্ষিপ্ত
- বাংলার অন্যতম মিষ্টি
- জনাইয়ের সুবিখ্যাত মনোহরা
- মনোহরা নিয়ে চালু নানা গল্প
- চেনা মিষ্টির অচেনা কথা অবাক করে
মনোহরা। নাম শুনলেই জিভে জল আসবেনা এরকম কোনো মিষ্টিপ্রেমী আছে কি? পশ্চিমবঙ্গে যে সমস্ত মিষ্টি প্রসিদ্ধ তার মধ্যে মনোহরা অন্যতম। আর এই মনোহরা মিষ্টি খেতে গেলে আসতে হবে হুগলি জেলার প্রাচীন জনপদ জনাইতে। হাওড়া বর্ধমান কর্ড লাইনে জনাই রেল স্টেশনও আছে।
এই মনোহরা মিষ্টির নামকরণ নিয়ে নানান গল্পকথা আছে। যাই হোক মনোহরার ইতিহাস প্রায় ২০০ বছরের। স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় এই মনোহরা খেতে খুব ভালোবাসতেন। তিনি অনেকবার জনাই এসেছেন। জনাই থেকে মনোহরা নিয়ে গেছেন উত্তমকুমার থেকে ছবি বিশ্বাসের মতো অনেক তাবড় অভিনেতা। কেউ বলেন একজন ইংরেজ কলকাতা থেকে জনাই এসেছিলেন । তিনিই এই মিষ্টান্নর আবিষ্কর্তা। আবার আরেক প্রচলিত প্রবাদ হলো সুবিখ্যাত ভীমচন্দ্র নাগ এখানকার ময়রা পাড়াতে থাকতেন। তাঁদের বংশধররাই এই মিষ্টি প্রচলন করেন।
অক্টোবর শুরুর আগেই প্রাথমিকে নিয়োগ, টেট পরীক্ষার ফলে চমকের ইঙ্গিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের
ভুলেও এই জায়গাগুলিতে রাখবেন না আপনার ফোন, হতে পারে চরম বিপদ
যেন একটুকরো ডুয়ার্স, ছোট্ট ছুটির গন্তব্য সবুজদ্বীপ সেজে উঠছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে
ছানা ও চিনি দিয়ে সেটা সন্দেশ তৈরি করে তাতে গোলাকার রূপ দিয়ে তার মধ্যে বিভিন্ন সুগন্ধি মশলা সহকারে গরম পাকে চোবান হয়। এরপর নামিয়ে সেটা শুকোতে হয়। এ এক অদ্ভুত মিষ্টি। এই মিষ্টির বিশেষত্ব হলো এই গোলাকার সন্দেশের চারধারে চিনির মোড়ক থাকায় চট করে নষ্ট হয় না। ফ্রিজের বাইরে তিন চারদিন থাকলেও এই মিষ্টি নষ্ট হয় না বলে জানাচ্ছেন দোকানীরা। এই মুহূর্তে বাংলার একটি জনপ্রিয় সিরিয়াল এই মনোহরা নিয়েই তৈরি।
জনাই বাজারের সুবিখ্যাত এক দোকানির আক্ষেপ ফাস্টফুডের যুগে এখন মিষ্টির সেই কদর আর নেই। পাশাপাশি সেভাবে এই শিল্পকে ঠিকমতো ব্র্যান্ডিং করা হয়না। এরকম চললে মনোহরা আগামী দিনে আদৌ থাকবে কিনা বলা যায় না।