সংক্ষিপ্ত

  • ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত 
  • যাদবপুরে আক্রান্ত এনএইচআরসির দল 
  • এলাকায় ৪০টি বাড়ি ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ 
  • ভোট সন্ত্রাস নিয়ে উদ্বেগ স্বাপন দাশগুপ্তর 

পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে গিয়ে হিংসার মুখোমুখি হতে হল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) দলকেই। যাদবপুরে দলের সদস্যদের ওপর হামলা চালান হয় বলেও  অভিযোগ উঠেছে। দলের সদস্য আতিফ রাশিদের মতে, তাঁদের ওপর একদল গুন্ডা হামলা চালায়। 

পিৎজা ডেলিভারির কি ড্রোনেই হামলা, পাক জঙ্গিদের ছক ভাবাচ্ছে ভারতকে

মঙ্গলবার যাদবপুরের নীলসংঘ এলাকায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্ত সরেজমিনে গিয়েছিল মানবাধিকার কমিশনের একটি দল। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ওই এলাকায় প্রায় ৪০টিরও বেশি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। যা নিয়ে রীতিমত উষ্মা প্রকাশ করেন দলের সদস্যরা। আক্রান্ত ঘরছাড়ারা মানবাধিকার কমিশনের নির্ধারিত দলের সঙ্গে কথা বলতে যান।  সেই সময়ই স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি অংশ কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীকালে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দলকে উদ্ধার করে। যদিও তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি বিনা কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনী স্থানীয় মহিলাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সূত্রের খবর এদিনের অশান্তির জেরে এখনও পর্যন্ত দুপক্ষের সাত জন আহত হয়েছে। 

গর্ভবতী মহিলাদের কোভিড টিকার গাইডলাইন, জেনে নিন কীভাবে দেওয়া হবে করোনার ভ্যাকসিন

যদিও এদিনের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক, দেবব্রত মজুমদার বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ও কিছু দুষ্কৃতী এলাকার মহিলাদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। হিংসার নামে তদন্ত করতে এসে গোটা পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে। তৃণমূল চায় রাজ্যে শান্তি বজায় থাকুক। অন্যদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন যাদবপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দলের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাই প্রমাণ করে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে। এই এলাকায় ৪০টি বাড়ি ভাঙারে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়এছি তা সত্য। তিনি আরও বলেন তাঁরাও গুন্ডাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। 

টাকা দিয়ে 'ফ্রি টিকা' শিলিগুড়িতে, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে নিশানা বিজেপির

অন্যদিকে বিজেপি নেতা স্বাপন দাশগুপ্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য রাজীব জৈনকে একটি চিঠি লিখে তারকেশ্বরের কেন্দ্রে বিজেপি ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। রাজনৈতিক কারণেই হামলা চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। অন্যদিকে রবিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে মেইল, ব্যক্তিগতভাবে বা টেলিফোনের মাধ্যমে রাজ্যের নির্বাচন উত্তোর হিংসার অভিযোগ জানান যাবে বলেও জানান হয়েছে।