সংক্ষিপ্ত
এদিন গ্রেফতার হওয়া ১৬ জন বাম ছাত্র যুব নেতা ও কর্মীদের আজ পেশ করা হয় হাওড়া আদালতে। কড়া পুলিশি প্রহরায় তাদের পেশ করা হয় ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে।
আনিস খান হত্যা মামলায় গোটা রাজ্যজুড়ে কার্যত রণংদেহী মেজাজে আন্দোলন শুরু করে বাম ছাত্র সংগঠন গুলি। সবথেকে বেশি মাঠে দেখা যাচ্ছে সিপিআইএম-র ছাত্র সংগঠন এসএফআইকে। এদিকে আনিস হত্যাকারীদের গ্রেফতারির দাবিতে গতকালই হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপারের (Howrah Rural Police Super) অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়েছিল এসএফআই-ডিওয়াইএফআই-র (SFI-DYFI) তরফে। সেই কর্মসূচি থেকে হিংসার অভিযোগে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতারও করা হয়। গ্রেফতার করা হয় বাম ছাত্র নেতা সৃজন ভট্টাচার্য সহ আরও অনেককেই। এদিকে গ্রেফতার হওয়া ১৬ জন বাম ছাত্র যুব নেতা ও কর্মীদের আজ পেশ করা হয় হাওড়া আদালতে। কড়া পুলিশি প্রহরায় তাদের পেশ করা হয় ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধর,পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর,সরকারি কাজে বাধা,খুনের চেস্টা,উস্কানি ও পরিকল্পিত গন্ডগোল পাকানো নিয়ে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল আনিস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বাম ছাত্র যুব সংগঠনের ডাকা পাঁচলা পানিয়ারা অফিসের ঘেরাও অভিযানকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে পুলিশ। শনিবার হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপারের কার্যালয় অভিযানে বাম ছাত্র-যুবদের মিছিল এগোতেই বেঁধে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। এসপি অফিসের সামনে পুলিশি বাধার মুখে পড়া মাত্রই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বামপন্থী ছাত্র-যুবরা। ৬ নং জাতীয় সড়কের উপর দু’পক্ষের সংঘর্ষে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
আরও পড়ুন-যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ভিন্টেজ কার নিয়েই কলকাতার রাস্তায় নেমে বড় চমক মদনের
আরও পড়ুন- কাজের চাপে আত্মহত্যা, রেলের কর্মীর মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ হাওড়ার লিলুয়া ইয়ার্ডে
আরও পড়ুন- যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে আটকে গাইঘাটার যুবক, উদ্বেগে গোটা পরিবার
একইসাথে শনিবারই কলকাতায়ও আনিস খুনের সুবিচার চেয়ে পথে নামতে দেখা যায় সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্বকে। এদিন বিকেলে কলকাতায় সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুরা বড়সড় হোর্ডিং হাতে নিয়ে রাস্তায় নামেন। সেখান থেকেও লাগাতার তোপ দাগা হয় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এদিকে গ্রেফতারির পর ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দাগতে দেখা যায় বাম ছাত্র-যুবদের। আদালত চত্বরেই DYFI রাজ্য সম্পাদক কমরেড মীনাক্ষী মুখার্জীকে বলতে শোনা যায়, “এইভাবে আনিস খান এর আন্দোলন কে দমিয়ে রাখা যাবে না”। অন্যদিকে সৃজন-মীনাক্ষীদের গ্রেফতারির পর গতকালই ফের তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় কলকাতার রাস্তায়। আনিস মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সেন্ট্রাল এভিনিউ এম জি রোড অবরোধ করে এসএফআই ডিওয়াইএফআই। সেখানেই পুলিশের সাথে দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধও শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের। সন্ধ্যে সাতটা থেকে শুরু হয় এই বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় বিক্ষোভকারীদের।