সংক্ষিপ্ত
- করোনা আবহের মধ্যেও সরগরম রাজ্য রাজনীতি
- সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে দলে যোগদানের প্রতিযোগিতা
- জঙ্গলমহলে গেরুয়া-ঘাসফুল শিবিরে প্রতিযোগিতায়
- লক্ষ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচন
পাখির চোখ একুশের বিধানসভা নির্বাচন। নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে জঙ্গলমহলে তৎপর শাসক-গেরুয়া শিবির। করোনা আবহের মধ্যেও সামাজিক দূরত্ব বিধি শিকেয় তুলে যোগদানের রাজনীতি চলছে পুরুলিয়ায়। কেউ পিছিয়ে না থেকে দলের সদস্য সংখ্য়া বাড়াতে অব্যাহত রয়েছে যোগদানের প্রতিযোগিতা।
লোকসভা ভোটের পর থেকেই জঙ্গলমহলের দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছে শাসক-গেরুয়া শিবির। কেননা ওই নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূলকে পিছনে ফেলে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি অভাবনীয় বাড়িয়েছিল বিজেপি। পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়া জেলায় ভাল ফল করেছিল গেরুয়া শিবির। তারপর থেকে পুরুলিয়ায় বাড়তে থাকে রাজনৈতিক উত্তাপ। বেশ কয়েকজন বিজেপির কর্মীকে খুনের অভিযোগও ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। করোনা আতঙ্কে দলীয় সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি থমকে থাকেনি। বিজেপি-তৃণমূলের মধ্য়ে যোগদানের প্রতিযোগিতা চলছেই।
তৃণমূলের বাংলার যুবশক্তি কর্মসূচিতে পুরুলিয়ার বাগমুণ্ডি বিধানসভায় বিরোধী দল ছেড়ে শাসকদলে নাম লিখিয়েছেন বহু মানুষ। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন ৩৮৫ জন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গুরুপদ টুডু। অন্যদিকে, বান্দোয়ান বিধানসভায় তৃণমূল-কংগ্রেস-সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সব মিলিয়ে শাসক-গেরুয়া শিবিরে দলে নাম লেখানোর প্রতিযোগিতায় সরগরম পুরুলিয়া।
পুরুলিয়ার জেলা বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসগর চক্রবর্তী জানান, ''বিজেপিকে ভালবেসে দলে যোগদান করছেন পুরুলিয়ার মানুষ, কিন্তু তৃণমূল তাঁদের ভয় দেখিয়ে নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করছে''। অন্য়দিকে,জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র নবেন্দু মাহালির দাবি, '' বিজেপি সহ অন্য বিরোধী দল ছেড়ে স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগদান করছেন বহু কর্মী''।
লোকসভার পর ভোট কৌশুলী প্রশান্ত কিশোরের স্ট্র্য়াটেজি মেনে 'দিদি কে বলো', 'বাংলার গর্ব মমতা', 'বাংলার যুবশক্তি' কর্মসূচি চালু করেছে তৃণমূল। করোনা আবহের মধ্য়েও সেইসব কর্মসূচি থেকে দলের সুফল হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। অন্য়দিকে, 'দাদা কে বলো' কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে বিজেপিও।