সংক্ষিপ্ত

দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য আজ দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে গিয়েছিলেন মীনাক্ষী। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। 

হাঁসখালির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। আর এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল নেতার ছেলের নাম জড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বিষয়টি হাতিয়ার করেই ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। এছাড়া ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই কিশোরীর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর থেকে আরও কিছুটা ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসকদল। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তার মধ্যে আবার এই ঘটনায় তৃণমূলেরই বিভিন্ন নেতা বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্ককে আরও উসকে দিচ্ছেন। আর এবার এই ঘটনায় তৃণমূলের অস্বস্তি আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিলেন গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী নিজেই সরকারিভাবে ধর্ষণকে স্পনসর করছেন। 

দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য আজ দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে গিয়েছিলেন মীনাক্ষী। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, "হাঁসখালির ঘটনায় লজ্জা মুখ ঢাকছে আমাদের। এটা যদি শুধু দুষ্কৃতীদের কাজ হত সেটা আলাদা বিষয় ছিল। সরকার যখন ধর্ষকদের বাঁচানোর চেষ্টা করে তখন এটা বুঝে নিতে হয় এটা সরকারি ভাবে স্পনসর্ড। সরকারি ভাবে ধর্ষণকে স্পনসর্ড করছেন পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। হাঁসখালি শুধুমাত্র নয় হাঁসখালি একটি নাম মাত্র। গোটা রাজ্যে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে।"

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ডেপুটেশন দিতে গিয়ে আটক ৪ চাকরিপ্রার্থী, উত্তেজনা ধর্মতলায়

উল্লেখ্য, হাঁসখালি নিয়ে ১১ এপ্রিল একটি মন্তব্য করেছিলেন মমতা। তিনি বলেছিলেন, "হাঁসখালিতে ধর্ষণ বলবেন না কি প্রেম না অন্তঃসত্ত্বা নাকি লাভ অ্যাফেয়ার্স বলবেন...আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটি কী? ঘটনাটা অত্যন্ত খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু, শুনেছি ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির নাকি লাভ অ্যাফেয়ার ছিল।" এরপর মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন, "মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখে। অভিযোগ জানানো হয়েছে ১০ তারিখে। যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে তবে ৫ তারিখে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন? কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন কী ভাবে এর তদন্ত করবে পুলিশ?" আর মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যই বিতর্ককে অনেকটা উসকে দিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে তৃণমূলকে একহাত নিতে ছাড়েনি বিরোধীরা। 

আরও পড়ুন- 'যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, সেখানে একটা ঘটনাও লজ্জার', হাঁসখালি নিয়ে মন্তব্য সৌগতর

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর হাঁসখালি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বলেছিলেন, "মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় সকলেই চিন্তিত। কোনও জায়গায় কোনও ঘটনা ঘটলে, তৎক্ষণাৎ তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এখানে একদম জিরো টলারেন্স করতে হবে। আমি আশা করব পুলিশ-প্রশাসন এ দিকে নজর রাখবে। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সেখানে নারী নির্যাতনের একটি ঘটনা ঘটলেও তা লজ্জার।" সৌগতর এই মন্তব্য ফের বিতর্ককে খানিকটা উসকে দেয়। আর এবার মীনাক্ষীর মন্তব্যের জেরে ফের অস্বস্তিতে শাসকদল। 

আরও পড়ুন- 'মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হোক', হাঁসখালিকাণ্ডে বিস্ফোরক সুকান্ত