সংক্ষিপ্ত
- দুর্গাপুরে গাড়ি, বাইকে লাগানো হচ্ছে আগুন
- রাতের বেলা আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা
- ছ' মাস ধরে চলছে এই উপদ্রব
- এখনও দুষ্কৃতীদের ধরতে ব্যর্থ পুলিশ
দীপিকা সরকার, দুর্গাপুর: কখনও বাইক, কখনও আবার চার চাকা। বাড়ির ভিতরে দাঁড় করিয়ে রাখা গাড়িতে রাতের বেলা এসে আগুন লাগিয়ে দিয়ে যাচ্ছে কেউ বা কারা। গত ছ' মাসে এমন একাধিক ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে দুর্গাপুরবাসী। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছে, তার হদিশ এখনও পায়নি পুলিশও।
এই উপদ্রবের সূত্রপাত গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে। সেদিন দুর্গাপুরের স্টিল টাউনসিপের বি জোন এলাকার মার্কনিতে ডিএসপি-র একটি আবাসনে মাঝরাতে রহস্যজনকভাবে গ্যারাজে থাকা একটি চার চাকা গাড়ি ও দু'টি বাইক আগুনে ভস্মীভূত হয়। ওই একই রাতে ওই এলাকার অন্য একটি আবাসনেও একটি চারচাকা গাড়িতে আগুন লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে বি-জোন ফাঁড়ির পুলিশ ও দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছলেও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী গত ছ' মাসে দুর্গাপুরের মোট পাঁচটি চার চাকা এবং দশটি বাইকে একই ভাবে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
২০ ফেব্রুয়ারির পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২২ মার্চ, ২১ এপ্রিল, ২৯ মে এবং সর্বশেষ ১ অগাস্ট, কখনও দু' চাকা, কখনও আবার বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যে রাখা চার চাকা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ২৯ মে-র পর প্রায় দু' মাস এই উপদ্রব বন্ধ থাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুলিশ কর্তারা। কিন্তু গত ১ অগাস্ট ফের দুর্গাপুরের এডিশন এলাকায় তিনটি বাইক, একটি চার চাকা গাড়ি এবং সাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, স্টিল টাউনশিপ এলাকায় অনেকেই রাতে বাইক একেবারে বাড়ির ভিতরে না ঢুকিয়ে বাড়ির বাইরে পাঁচিল ঘেরা জায়গা বা ছাউনির নীচে রেখে দেন। নিরাপত্তা নিয়ে এতদিন নিশ্চিন্ত থাকায় এভাবেই গাড়ি বা বাইক রাখতেন শহরবাসীদের অনেকে। কিন্তু নতুন এই উপদ্রবে অনেক গাড়ির মালিককেই এখন বিকল্প উপায় ভাবতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে আনন্দ নেওয়ার জন্যই এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছে কিছু দুষ্কৃতী। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি অভিষেক গুপ্তা জানান, 'দুষ্কৃতীদের এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি।' এই রহস্যের কিনারা হওয়ায় আশায় প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষায় দিন গুনছেন শহরবাসী।