সংক্ষিপ্ত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিদির মত শ্রদ্ধা করেন বলে মিঠুন জানান তাঁকে তৃণমূল কোন চোখে দেখে সেটা তাঁর জানা নেই। তবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করেন তিনি। মিঠুন বলেন অনেক সময় বলা হয় বিজেপি দাঙ্গা করে। কিন্তু কেউ আজ পর্যন্ত কোনও প্রমাণ দেখাতে পেরেছে। আসলে পুরোটাই ষড়যন্ত্র।
চাঞ্চল্যকর দাবি! কার্যত বোমা ফাটালেন মিঠুন চক্রবর্তী। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির হাত ধরে বাংলার রাজনীতিতে প্রবেশ করা মিঠুন চক্রবর্তীর দাবি ৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির সাথে যোগাযোগ করছেন। তাঁর সঙ্গেও নাকি বেশ ভালো সম্পর্ক এদের। এই ৩৮ জনের মধ্যে ২১ জন বিধায়ক সরাসরি যোগাযোগ করেছেন বিজেপির সঙ্গে। মিঠুন চক্রবর্তীর এই দাবির পর স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা তীব্র হয়েছে।
এদিন মিঠুন বলেন 'বিজেপিকে যদি মানুষ ভাল না বাসে তাহলে ১৮টা রাজ্যে কীভাবে ক্ষমতায় রয়েছে দল। সিবিআই, ইডি বিজেপির নিজস্ব নয়। তারা আইন অনুযায়ী কাজ করে। আর এটাই এই রাজ্যের প্রথম দুর্নীতি নয়। প্রথমে যারা বিধায়ক হয়ে চলে গিয়েছিল তখন কষ্ট হয়েছিল। কিন্তু এখন মনে হয় যে যার যদি কারুর যাওয়ার থাকে প্লিজ তাড়াতাড়ি যান। আমরা আমাদের মতো তাহলে সাজাতে পারবো।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিদির মত শ্রদ্ধা করেন বলে মিঠুন জানান তাঁকে তৃণমূল কোন চোখে দেখে সেটা তাঁর জানা নেই। তবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করেন তিনি। মিঠুন বলেন অনেক সময় বলা হয় বিজেপি দাঙ্গা করে। কিন্তু কেউ আজ পর্যন্ত কোনও প্রমাণ দেখাতে পেরেছে। আসলে পুরোটাই ষড়যন্ত্র।
মিঠুন প্রশ্ন করেন মহারাষ্ট্রে ক্ষমতার পরিবর্তন হতে পারে, তবে বাংলায় কেন নয়? সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, 'আমি যখন বম্বেতে ছিলাম। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনলাম বিজেপি শিবসেনার সরকার গঠন করবে। মহারাষ্ট্রে যদি করা যায়, এখানে কেন করা যাবে না?'
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন মিঠুনের দাবি সত্যি বলে যদি মেনে নেওয়াও যায়, তবু এই রাজ্যে বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না গেরুয়া শিবির। ৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েও সরকার গঠন করা যাবে না বিজেপির পক্ষে। বিজেপির বর্তমানে রাজ্যে ৬৯ জন বিধায়ক রয়েছে এবং আরও ৩৮ জন যোগ দেওয়ার পর এই সংখ্যা ১০৭ হবে।
এর পরেও বিজেপি সরকার গঠন করতে পারবে না। কারণ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার ম্যাজিক ফিগার হল ১৪৪। এই পরিস্থিতিতে, এই বিধায়কদের দলবদলের পরেও বিজেপির আরও ৩৭ জন বিধায়কের প্রয়োজন হবে।
মিঠুন বলেন বলা হচ্ছে বিজেপি দাঙ্গা করছে। বিজেপি মুসলমানদের পছন্দ করে না। এটা কিন্তু ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ছড়ানো হচ্ছে। গত এক বছরে বিজেপি কোথায় দাঙ্গা করেছে আমাকে দেখান। মুসলমানদের পছন্দ না হলে তিনজন বড় মেগাস্টার কীভাবে মুসলমান হলেন? মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তৃণমূল নেতা মানেই চোর। অথচ জনগণ তাকে ভোট দিয়ে এনেছে। কিন্তু এখন রাজ্যের অবস্থা এমন হয়েছে যে একমাত্র ঈশ্বরই রক্ষা করতে পারেন। মিঠুন আরও বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে।