সংক্ষিপ্ত
- কাজ হারিয়ে রাজ্যে ফিরছেন পরিয়ায়ী শ্রমিকরা
- কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে 'অব্যবস্থা'য় বাড়ছে ক্ষোভ
- সাংসদের মন্তব্যে বিড়ম্বনায় বাড়ল শাসকদলের
- বিতর্ক তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে
আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: 'সবাই জামাই আদর চাওয়ায় মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।' পরিযায়ী শ্রমিকদের বেফাঁস মন্তব্য় করে এবার বিতর্কে জড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সাংসদের এহেন মন্তব্যে সমালোচনা ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। ধিক্কার জানিয়েছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: পরিবহণে অচলাবস্থা কাটল, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবার জেলায় পথে নামল বেসরকারি বাস
কোথাও খাবার নেই, তো কোথা আবার নিম্নমানের খাবার নেই। রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে। ভিন রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে নাস্তানাবুদ অবস্থা সরকারের। এই যখন পরিস্থিতি, তখন রাজ্যের শাসকদলের বিড়ম্বনা আরও বাড়ালেন খোদ তৃণমূল সাংসদই।
জানা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষোভ কমাতে আসরে নেমেছেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিমের সদস্যরা। নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলন করছেন শাসকদলের বিধায়ক ও নেতারাও। শনিবার বীরভূমের সাঁইথিয়ায় ব্লক অফিসে বিডিও-র সঙ্গে বৈঠক করেন এলাকার তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। বৈঠক সেরে বেরিয়ে তিনি বলেন, 'এতদিন পর বাইরে থেকে ফিরছে। অস্থিরতার মধ্যে রয়েছেন। মাছ দিলে বলছে মাংস দেয়নি, মাংস দিলে বলছে ডিম দেয়নি।' সাংসদের আরও বক্তব্য, 'এটা খুবই স্বাভাবিক, আপনার বাড়িতে একজন এলে যে যত্নটা করতে পারবেন না, হাজার জন এলে সেই যত্নটা করতে পারবেন না।' তাহলে কি এই বিক্ষোভে কি রাজনৈতিক মদত আছে? সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন বীরভূমের সাংসদ।
আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ধুন্ধুমারকাণ্ড, তমলুকে সংঘর্ষে জড়ালেন স্থানীয়রা
তবে সাংসদ যাই বলুন না কেন, বিরোধীরা কিন্তু কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বিজেপির বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী বলেন, 'পরিযায়ী শ্রমিকরা কেউ জামাই আদর চায়নি। চেয়েছেন ন্যূনতম খাবার আর থাকার স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। ওরাও কারও না কারও জামাই অবশ্যই। তাদের প্রতি সাংসদের এই ব্যাঙ্গাত্বক মন্তব্যকে ধিক্কার জানাই।' কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সঞ্জয় অধিকারীর কটাক্ষ, 'এতবড় বিপর্যয়ে ওঁকে জেলায় দেখা যায়নি। অথচ সবকিছু যখন স্বাভাবিকের পথে, তখন শ্রমিকদের প্রতি এই মন্তব্য অপমান জনক। আমরা ওনার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগের দাবি করছি।' সাংসদের বিঁধেছেন সিপিএম নেতা রামচন্দ্র ডোমও।