সংক্ষিপ্ত
রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ভোট গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়েছে গত রবিবার। যদিও এবারের ভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক হিংসা, ছাপ্পা ভোট-বুথ জ্যামের অভিযোগ সরব হয় বিরোধীরা।
তৃণমূলের পৌরসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই বাড়তে থাকে রাজনৈতিক চাপানউতর। এমনকী বহু দলীয় নেতাই টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী(Independent candidate) হিসাবে দাঁড়িয়ে যান একাধিক ওয়ার্ডে। আর তাতেই অস্বস্তি বাড়তে থাকে শাসক শিবিরের। এদিকে তৃণমূলে রয়েছে অথচ নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন এমন বহু নেতা-কর্মীকেই দল থেকে বহিষ্কার করে ঘাসফুল শিবির। এদিকে বুধের সকালে ভোট গণনা শুরু হতেই গোটা রাজ্যজুড়ে কার্যত তৃণমূল ঝড় দেখা যাচ্ছে। সিংহভাগ আসনেই এগিয়ে অথবা জয়ী হচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। কিন্তু এই তৃণমূলেই এবারের ভোটে জোর টক্কর দিচ্ছে নির্দল প্রার্থীরা। ইতিমধ্যেই শেষ পাওয়া আপডেটে দেখা যাচ্ছে কৃষ্ণনগর পৌরসভায় ২টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। অন্যদিকে ডালখোলাতেও জয় এসেছে নির্দলদের। পাশাপাশি কোচবিহারের ২ নং ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী(Trinamool candidate) তথা নিজের মাকেই ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী। ৬১১ টি ভোটে জয়ী হয়েছেন উজ্জ্বল তর।
এদিকে রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ভোট গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়েছে গত রবিবার। যদিও এবারের ভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক হিংসা, ছাপ্পা ভোট-বুথ জ্যামের অভিযোগ সরব হয় বিরোধীরা। যদিও মাত্র দুটি পৌরসভায় পুর্ননির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। যা নিয়েও অব্যাহত ছিল রাজনৈতিক তরজা। এদিকে এবারের পুরভোটে সকাল ৯টা পর্যন্ত পাওয়া আপডেটে দেখা যাচ্ছে ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রথম রাউন্ড গণনার শেষে তৃণমূল ১৫টি ওয়ার্ডে এগিয়ে, ২টি ওর্য়াডে সিপিআই আর একটি ওর্য়াডে নির্দল এগিয়ে। এদিকে এবারের ভোটগণনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “প্রত্যাশা রয়েছে কিন্তু যে রেজাল্ট হওয়ার কথা ছিল সেটা হবে না। ভয়ের পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে তাই যা রেজাল্ট হওয়ার ছিল তা হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন যে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা, ভোট লুট সিপিএম আমলে হত এবং মানুষ তাদের বিদায় দিয়েছে এরপরে মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে।” তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন- শুরু ফলপ্রকাশের কাউন্টডাউন, কার হাতে যাচ্ছে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ
আরও পড়ুন- কার দখলে কৃষ্ণনগর, রাত পোহালেই ফলপ্রকাশ
আরও পড়ুন- কার দখলে যাচ্ছে নবদ্বীপ পৌরসভা, শুরু কাউন্টডাউন
এদিকে বিগত বছরের পুরভোটের ইতিহাসের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে প্রতিবারেই ভোটে নির্দলদের পাল্লা বেশ খানিকটা ভারীই থাকে। এদিকে এবারেও সেই ট্রেন্ড দেখতে পাওয়া গেলেও বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কাঁটায় বিদ্ধ খোদ ঘাসফুল শিবিরই। আর সেই কারণেই এবারে নির্দলদের লড়াই নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি করেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।