সংক্ষিপ্ত

করোনা আবহে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ভোট পর্বে একাদিক বিধিনিষেধ আরোপ করে কমিশন। তাতেই একাধিক বিধিনিষেধের সাথে সাফ জানানো হয় নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর জমায়েত এড়াতেই কোনোভাবেই করা যাবে না বিজয় মিছিল।  

করোনা আবহের মধ্যেই গোটা দেশে পাঁচ রাজ্যে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে চলেছে পৌরসভা নির্বাচন। এদিকে দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর তৃতীয় ঢেউ চলাকালীন সময়ে গোটা দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি বাংলার অবস্থাও মারাত্মক ভাবে খারাপ হয়। এদিকে করোনা আবহে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ভোট পর্বে একাদিক বিধিনিষেধ আরোপ করে কমিশন। তাতেই একাধিক বিধিনিষেধের সাথে সাফ জানানো হয় নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর জমায়েত এড়াতেই কোনোভাবেই করা যাবে না বিজয় মিছিল।  এদিকে নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) এই নির্দেশিকা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে যায় জোরদার চর্চা। যদিও বর্তমানে করোনা ফাঁস অনেকটাই আলগা হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে ২ মার্চ সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে ১০৮টি পৌরসভার ভোট(108 Municipal Elections) গণনা। তার মধ্যেই এবার নতুন ঘোষণা করতে দেখা গেল কমিশনকে। 
নয়া ঘোষণায় ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজয় মিছিলে অনুমতি দিল কমিশন। তবে বিজয় মিছিলের নামে কোনোরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। একইসঙ্গে যথাসম্ভব মানতে হবে কোভিড বিধি। এদিকে এদিন সকাল থেকে ভোটগণনা শুরুর পর থেকে খুশির জোয়ার ঘাসফুল শিবিরে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া আপডেট বলছে সমস্ত পৌরসভার মধ্যে ৪টি পৌরসভায় এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল-কংগ্রেস। এই ক্ষেত্রে মনে রাথা ভালো করোনা আবহে ভোট পরিচালনা নিয়ে আগেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। দেশের মাটিতে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে তখন সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্য নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন- শুরু ফলপ্রকাশের কাউন্টডাউন, কার হাতে যাচ্ছে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ

আরও পড়ুন- কার দখলে কৃষ্ণনগর, রাত পোহালেই ফলপ্রকাশ

আদালত সাফ জানিয়েছিল দেশের কোভিড পরিস্থিতির অবনতির মধ্যেও মিটিং-মিছিলের অনুমতি দিয়ে কমিশনই করোনাকে এত বাড়তে দিয়েছে৷ যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। সেই ঘটনা থেকেই শিক্ষা নিয়ে এবার নির্বাচনে শক্ত হাতে নামে কমিশন। বর্তমানে রাজ্যে ১০৭টি জায়গায় ভোট গণনা করা শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন সকাল ৮টা থেকেই শুরু হয় গণনা পর্ব। এদিকে গণনা নিয়ে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা রাজ্যকেই। গণনাকেন্দ্রকে ঘিরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গণনাকেন্দ্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে যাবতীয় কড়াকড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকছে ব্যাপক পুলিশি প্রহড়া।  

আরও পড়ুন- কার দখলে যাচ্ছে নবদ্বীপ পৌরসভা, শুরু কাউন্টডাউন