সংক্ষিপ্ত
কোভিড পরিস্থিতির জেরে আগেই ৪ পুরনিগমে ভোট পিছিয়ে গিয়েছে। চলতি মাস ফেব্রুয়ারিতেই বাকি ১০৮ পুরসভাতে ভোট হবে, বিজ্ঞপ্তি জারি করার আগে সর্বদল বৈঠক করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কোভিড পরিস্থিতির জেরে আগেই ৪ পুরনিগমে ( Municipal ELections 2022) ভোট পিছিয়ে গিয়েছে। দোরগড়ায় পুরভোট বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর এবং আসানসোলে। তবে এই চার পুরনিগমই নয় শুধু, চলতি মাস ফেব্রুয়ারিতেই বাকি ১০৮ পুরসভাতে ভোট হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি সেই পুরভোট হওয়ার কথা। বিজ্ঞপ্তি জারি করার আগে সর্বদল বৈঠক করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন(WB State Election Commission )। বৃহস্পতিবার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক। বিজ্ঞপ্তি জারি করার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি পুরভোট বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর এবং আসানসোলে। এদিকে ২৭ ফেব্রুয়ারি বাকি ১০৮ পুরসভাতে ভোট হবে। কীভাবে হবে এই নির্বাচন, তা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত জানল রাজ্য কমিশন। কলকাতায় কমিশন দফতরে সর্ব দলীয় বৈঠকে অংশ নেন তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস। কোভিড নিয়ম মেনে প্রচারের সময় রাত আটটা অবধি বেধে দিয়েছে কমিশন। তবে এই সর্বদলীয় বৈঠকে প্রচারের সময় বাড়ানোর কথা বলেছে কমিশন। রাজ্যের শাসকদলের তরফে তাপস রায় বলেন, রাজ্যে শান্তিপূর্ণভাবে পুরভোট করার জন্য করণীয় সকল কিছুই কমিশনকে করতে হবে। কমিশনের সব সিদ্ধান্তই আমরা মেনে নেব। তবে প্রচারের সময় আরও বাড়ানোর জন্য বলেছি।'
প্রসঙ্গত, চার কেন্দ্রের পুরভোটের তারিখ ঘোষণার সময়ও কোভিডের এতটা বাড়াবাড়ি ছিল না রাজ্যে। নতুন বছরে পা দিতেই মূলতা তা গত দুই বছরের রেকর্ড ভেঙে দেয়। যদিও গত বছর পুজোর আগের উপনির্বাচনও পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে ছিল বিরোধীরা। কিন্তু সেসময় লোকাল ট্রেন বন্ধ রেখে এবং কোভিড বিধি কড়াকড়ি করে সংক্রমণের সংখ্যা কমিয়ে মাস্ট্রার স্ট্রোক দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। নির্ধারিত সময়েই উপনির্বাচন হয়েছিল। এমনকি একইদিনে কেন নয়, প্রশ্ন তুললেও শেষ অবধি একের পর এক উপনির্বাচনে জয় আসে শাসকদলের। তবে গতবারেরটায় অন্যতম ইস্যু ছিল মমতার মুখ্যমন্ত্রিত্ব। তবে এবারের এই ৪ কেন্দ্রের পুরভোটের প্রেক্ষাপটাই পুরো আলাদা। পুরভোট পিছিয়ে এই প্রথম কোভিডের জন্য একসুরে হাঁটে সকল রাজনৈতিক দল।
তবে এই মুহূর্তে বকেয়া পুরভোট ৪ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে অনঢ় বিজেপি। সর্বদল বৈঠকে কোভিড পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন বিজেপির শিশির বাজোরিয়া এবং অগ্নিমিত্রা পাল। সর্বদল বৈঠকে একইদাবি তুলেছেন কংগ্রেসের আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় এবং অসিত মিত্র। অপরদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে পুরভোটে করার যে দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা, তা কার্যত খারিজ করে দিয়েছে কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশ দিয়েই হবে বকেয়া পুরভোট। প্রতিটি বুথেই থাকবে সশস্ত্র পুলিশ কর্মী।