সংক্ষিপ্ত
- মুর্শিদাবাদে ফাঁস হল জাল আধার কার্ড চক্র
- তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে
- জাল আধার কার্ড তৈরি ওয়ার্ক শপের হদিস মিলেছে
- টাকার বিনিময়ে জাল আধার কার্ড তৈরির কারবার চলছিল
প্রশ্নের মুখে মুর্শিদাবাদে ইন্দো-বাংলা সীমান্তেরপুলিশি নজরদারি। চোখ কপালে উঠেছে উচ্চ আধিকারিক থেকে পুলিশকর্তাদের। একদিকে যখন ভুয়ো টিকাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য তখনই মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদে ফাঁস করা হল জাল আধার কার্ড চক্র। আর এই চক্র ফাঁস হতেই সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত, যাদবপুরে আক্রান্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দল
বেশ কিছুদিন ধরেই গোপন সূত্র থেকে খবর পাচ্ছিল পুলিশ। সেইমতো ব্লুপ্রিন্ট বানিয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ আধিকারিকরা টিম তৈরি করে দস্তুরহাট নিচুপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে হানা দেয়। হদিস মেলে জাল আধার কার্ড তৈরি ওয়ার্ক শপের। সেখানে বসেই দেদার টাকার বিনিময়ে একের পর এক জাল আধার কার্ড তৈরির কারবার চলছিল। ঘটনাস্থল থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয় একাধিক কম্পিউটার, ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ার যন্ত্র-সহ, বিপুল হার্ডকপি।
জানা গিয়েছে, একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে টাকার বিনিময়ে জাল আধার তৈরির ওই ওয়ার্কশপ তৈরি করা হয়েছিল। মূল অভিযুক্ত-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম অতুল চৌধুরী, বিজয় রায় ও আমজাদ শেখ। গুজরাত, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ একাধিক এলাকা থেকে পাসওয়ার্ড, আইডি হ্যাক করে এই কারবার চলছিল। শয়ে শয়ে জাল আধার কার্ড ইতিমধ্যেই বিলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- টিকাকরণ শিবির বৈধ না অবৈধ, জেনে নিন স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটে
এ প্রসঙ্গে জঙ্গিপুরের পুলিশ জেলার সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, "পুলিশ এই চরম অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে ম্যারাথন জেরা শুরু করেছে। অনেক তথ্য ইতিমধ্যেই মিলেছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু এখন বলা সম্ভব নয়"। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা জেলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই চক্রের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত থাকতে পারে।