সংক্ষিপ্ত
- বর্ধমানের চৈত্রপুরের ঘটনা
- মৃত তৃণমূল নেতা পুর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়
- কাটমানি ফেরানোর চাপ দিচ্ছিল বিজেপি
- বিজেপি-র বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ পরিবারের
কাটমানি বিতর্কের মধ্যেই তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের চৈত্রপুর এলাকায়। মৃত ওই নেতার নাম পুর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। পরিবারের অভিযোগ, কাটমানি ফেরত চেয়ে কয়েকদিন ধরেই পুর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে হুমকি দিচ্ছিলেন বিজেপি-র স্থানীয় কয়েকজন নেতা। ওই তৃণমূল নেতাকে বিজেপি-র কর্মী, সমর্থকরাই খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
পুর্ণেন্দুবাবুর পরিবারের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই স্থানীয় বিজেপি নেতারা ওই তৃণমূল নেতার কাছে 30 হাজার টাকা দাবি করছিলেন। এর পরেই পূর্ণেন্দুবাবু গত ২১ জুন বেহালায় মেয়ের বাড়িতে চলে যান। ২৫ তারিখ মেয়ের বাড়ি থেকে বর্ধমানের বাড়িতে ফেরার জন্য রওনা দেন পুর্ণেন্দুবাবু। কিন্তু সেদিন বিকেলের পর থেকেই তাঁর সঙ্গে ফোনে কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। আরও অভিযোগ, মঙ্গলবার এলাকার কয়েকজন বিজেপি কর্মী ফের ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে আবার চড়াও হয়। আতঙ্কে ছেলেকে নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন পূর্ণেন্দুবাবুর স্ত্রী সন্ধ্যা চট্টোপাধ্যায়। ওই তৃণমূল নেতার বাড়ির দেওয়ালেও 'কাটমানিট লিখে দেওয়া হয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত এ দিন দুপুরের দিকে বর্ধমানের চৈত্রপুর এলাকায় একটি গাছে পুর্ণেন্দুবাবুর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে বিজেপি দুষ্কৃতীরা খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এর পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তবে পেশায় পুরোহিত পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় কীসের বিনিময়ে কাট মানি নেবেন, সেই প্রশ্ন তুলছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই বিজেপি সমর্থককে পুলিশ আটক করেছে।