সংক্ষিপ্ত

  • নবমীর রাতে নিমতায় রহস্যজনকভাবে মারা যান এক যুবক
  • বিলাসবহুল গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর রক্তাক্ত
  • পুলিশের বক্তব্য মানতে নারাজ পরিবারের লোকেরা
  • নিমতা থানার খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের বাড়ির লোক

নবমীর রাতে নিমতায় যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে।  পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ বাড়ছে নিহতের পরিবারের লোকেদের।  তাঁদের দাবি, দুর্ঘটনা নয়, ওই যুবককে গুলি করে খুন করা হয়েছে। এমনকী, গাড়িতেও গুলির দাগ ছিল। ওই যুবকের  বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিকের নিমতা থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন নিহত যুবকের পরিবারের লোকেরা। তবে অভিযুক্ত এখনও অধরা।  এদিকে এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই থানা চত্বরে থাকা দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িটিকে তড়িঘড়ি ঢেকে দিয়েছে নিমতা থানার পুলিশ।

ঘটনার সুত্রপাত নবমীর দিন গভীর রাতে। সেদিন  বান্ধবীকে নিয়ে গাড়িতে করে নাইট ক্লাবে গিয়েছিলেন দেবাঞ্জন দাস নামে এক যুবক।  দেবাঞ্জন নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পরিবারের লোকেদের দাবি, রাত দুটো নাগাদ বিরাট সর্দারপাড়ায় বান্ধবীকে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিতে গিয়েছিলেন তিনি। এরপরই দেবাঞ্জনের মৃত্যুসংবাদ আসে।  খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যান বছর কুড়ির ওই যুবকের পরিবারের লোকেরা। ঘটনাস্থলে যায় নিমতা থানার পুলিশ।  বিরাটি ব্রিজে গাড়ি থেকে দেবাঞ্জন দাসের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। কীভাবে মৃত্যু হল ওই যুবকের? পুলিশের বক্তব্য,  রাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন দেবাঞ্জন।  প্রথমে রাস্তার পাশে ল্যাম্পপোস্ট ও পরে পাঁচিলের ধাক্কা লেগে উল্টে গিয়েছিল তাঁর বিলাসবহুল গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই যুবক। 

ছেলের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের বক্তব্য অবশ্য মানতে নারাজ মৃত দেবাঞ্জন দাসের পরিবারের লোকেরা। বরং ঘটনার দিন গাড়ির চেহারা দেখেই সন্দেহ হয় তাঁদের।  নিহতের বাবার অভিযোগ, নবমীর দিন যে বান্ধবীর সঙ্গে নাইট ক্লাবে গিয়েছিলেন দেবাঞ্জন, সেই বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিক ফোনে তাঁকে হুমকি দিচ্ছিল। সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে দেবাঞ্জনকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। তাঁর দাবি, দেবাঞ্জনের গাড়ির বাঁদিকে সিটের নিচে গুলি অংশ পড়তে থাকতে দেখেছেন।  নিমতা থানায় ছেলের বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও দায়ের করেছেন দেবাঞ্জন দাসের বাবা।  এদিকে আবার নিমতা থানায় এফআইআর করতে গিয়ে নিহতদের পরিবারকে হয়রানির মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকের দাবি, তাঁর যখন এফআইআর করতে থানা যান, তখন অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হলে মানহানির মামলার ভয় দেখান খোদ নিমতা থানার আইসি।