সংক্ষিপ্ত

হাওড়ার ডি আর এম মনীশ জৈন জানান খবর পেয়েই তারা শিশুটির চিকিৎসার দ্রুত ব্যবস্থা করেন।অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে।তার বাবা মায়ের খোঁজ পাবার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।শিশুটিকে কেন ফেলে রেখে যাওয়া হলো সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ দেশে কন্যা সন্তানদের পরিণতি বড় মর্মান্তিক। কখনও তারা শেষ হয় মায়ের পেটে, কখনও আবার পৃথিবীতে আসার পর। কখনও তাদের স্থান হয় আবর্জনা ফেলার ভ্যাটে, কখনও বা অনাথ আশ্রমে। এবার লোকাল ট্রেনের সিটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হল সদ্যোজাত কন্যা সন্তান। শুক্রবার দুপুরে বামুনগাছি কারশেডে বর্ধমান লোকাল আসার পর সাফাই করার সময় রেলকর্মীরা দেখতে পান ওই সদ্যোজাতকে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় আর পি এফ এবং রেলের চাইল্ড লাইনে। কন্যা শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন এই শিশুকন্যা।

গোটা ঘটনার খবর গিয়ে পৌঁছয়, হাওড়ার ডি আর এম মনীশ জৈনের কাছে। তিনি জানান খবর পেয়েই তারা শিশুটির চিকিৎসার দ্রুত ব্যবস্থা করেন। অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তার বাবা মায়ের খোঁজ পাবার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। শিশুটিকে কেন ফেলে রেখে যাওয়া হলো সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিশুটির শারীরিক অবস্থার দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা সবরকম ব্যবস্থা রেখেছেন। 

এদিকে, রেলের চাইল্ড লাইনের কাউন্সিলর মৌলি চক্রবর্তী জানান এর আগেও সদ্যোজাত কন্যা সন্তান উদ্ধার হয়েছে। সেক্ষেত্রে তদন্তে দেখা গিয়েছে কন্যা সন্তান হওয়া কিংবা অবাঞ্চিত সন্তান হবার কারনে তাদের ফেলে দিয়ে চলে যাওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুকন্যাদের সঙ্গেই এরকম ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে সেরকম কোনো কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। শুক্রবার উদ্ধার হওয়া শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠুক, চাইছেন সবাই। সুস্থ হওয়ার পর চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটিতে পাঠানো হবে ওই সদ্যোজাতকে। সেখান থেকে যেরকম নির্দেশ দেওয়া হবে শিশুটিকে সেভাবে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হবে বলে সূত্রের খবর।