সংক্ষিপ্ত
নতুন সম্ভাবনা উস্কে দিয়ে শুরুতেই তিনি বলেন, "আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করলে তাঁকে ঠেকানোর মত রাজনৈতিক শক্তি দিদি-মোদি কারও নেই।"
শেষ মুহূর্তে বদলে যেতে পারে ভোটের 'খেলা'। শনিবার সন্ধেয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনই ইঙ্গিত দিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। আসলে মন থেকে যে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করতে চাইছেন না তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। নতুন সম্ভাবনা উস্কে দিয়ে শুরুতেই তিনি বলেন, "আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করলে তাঁকে ঠেকানোর মত রাজনৈতিক শক্তি দিদি-মোদি কারও নেই।"
এছাড়া আক্ষেপের সুর ঝড়ে পড়ে অধীরের কথায়। তিনি বলেন, "মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলে তৃণমূল গত বিধানসভা ভোটে জয়লাভ করেছে। এখন সেই সম্ভাবনা আর নেই। ফলে কংগ্রেস প্রার্থী ভোটে নেমে প্রচার শুরু করলেই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা বিপুল ভোট দিয়ে কংগ্রেসের হাত শক্ত করবে। এ নিয়ে কোনও দ্বিধা আমার কাছে নেই।" অন্যদিকে তিনি বামেদের সমর্থনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেন, "ওই কেন্দ্রে বামেদের প্রার্থীও রয়েছে সেটা আমরা জানি। কিন্তু, ওটা কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি তাই সেখানকার সাধারণ মানুষ বা কংগ্রেস কর্মীরা নিজেদের মন মতো যাঁকে যোগ্য বা ভালো বলে মনে করবেন তাঁকেই ভোট দেবেন। এতে আমাদের আলাদা করে বলার কিছু নেই।"
আরও পড়ুন, শুধু ভবানীপুরেই নয়, ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় লড়াইটা শুরু BJP প্রার্থী প্রিয়াঙ্কার
আরও পড়ুন- 'বেকারত্ব ঘরে ঘরে, পিসিমণি হারবে ভবানীপুরে', উপনির্বাচনে নয়া স্লোগান শুভেন্দুর
আরও পড়ুন- সরকারি গোডাউন থেকে বেআইনী ভাবে চাল পাচার, হাতেনাতে পাকরাও মিল মালিক গ্রেফতার
৩০ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে যে কোনও মুহূর্তে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হতে পারে বলেই জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। আর সেই জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছে অধীরের মন্তব্য। সবশেষে তিনি বলেন, "লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও দিদি-মোদি উভয়েই লোহার বাক্স খুলে হিমঘর থেকে এনআরসি, সিএএ এইসব বের করে আবার সরব হবেন। তবে সব কিছুরই একটা সীমা থাকে। বাকিটা সময় বলবে।" তবে বিধানসভা নির্বাচনে বাম ও আইএসএফের সঙ্গে জোট করে একটিও আসন জিততে পারেনি কংগ্রেস। ফলে মুর্শিদাবাদের নির্বাচনে তারা নতুন কোনও স্ট্র্যাটেজি বের করতে পারে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের একাংশের।