সংক্ষিপ্ত
টনার সূত্রপাত মাস কয়েক আগে। একই গ্রামের বাসিন্দা আশিকুলের ঠিকাদার বন্ধু গণেশ ও তাঁর সহযোগী পরেশ কাজের টোপ দিয়ে আশিকুলকে কেরালায় নিয়ে গিয়েছিলেন। শুরুর দিকে সবকিছু ঠিক ছিল। কিন্তু, সময় যত এগোয় ততই গণেশ ও পরেশের সঙ্গে আশিকুলের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করেছিল।
বন্ধুর থেকে কিছু পরিমাণ টাকা পেতেন। কিন্তু, কিছুতেই সেই টাকা দিচ্ছিলেন না বন্ধু। অভিযোগ, অবশেষে প্রচন্ড রাগে হাতুড়ি দিয়ে মেরে বন্ধুর মাথা থেঁতলে দিলেন যুবক। বন্ধুকে হত্যার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ পুঁতে দেন নির্মীয়মাণ বহুতলের নিচে। এমনই ভয়াবহ ঘটনার শিকার হলেন মুর্শিদাবাদের মথুরাপুর গ্রামের বাসিন্দারা। মৃতের নাম আশিকুল ইসলাম (৩২)। এই ঘটনায় মুম্বই থেকে পরেশ মণ্ডল নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক আরও এক অভিযুক্ত গণেশ মণ্ডল। তাঁর খোঁজে জারি তল্লাশি।
ঘটনার সূত্রপাত মাস কয়েক আগে। একই গ্রামের বাসিন্দা আশিকুলের ঠিকাদার বন্ধু গণেশ ও তাঁর সহযোগী পরেশ কাজের টোপ দিয়ে আশিকুলকে কেরালায় নিয়ে গিয়েছিলেন। শুরুর দিকে সবকিছু ঠিক ছিল। কিন্তু, সময় যত এগোয় ততই গণেশ ও পরেশের সঙ্গে আশিকুলের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করেছিল। পরিবারের অভিযোগ, এর মাঝে দিন কয়েক আগে আচমকা আশিকুলের ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়। তারপর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। আশিকুলের ভাই মমিন শেখ বহুবার দাদার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরপর সন্দেহ হওয়ায় গোটা বিষয়টি স্থানীয় থানায় লিখিতভাবে জানান তাঁরা।
কিন্তু, তারপরও আশিকুলের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরইমধ্যে কেরালা থেকে আশিকুলের মৃত্যু সংবাদ পান পরিবারের সদস্যরা। কেরালার কান্নুর জেলার ইরাক্কু থানা থেকে সেই খবর দেওয়া হয়। জানতে পারেন, আশিকুলের দেহ মাটির নিচে গর্ত করে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ পোঁতার পর তার উপর ঢালাই করে দেওয়া হয়েছে। আর এই খবর পাওয়ার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন আশিকুলের বাবা-মা ও স্ত্রী।
আরও পড়ুন- সরকারি গোডাউন থেকে বেআইনী ভাবে চাল পাচার, হাতেনাতে পাকরাও মিল মালিক গ্রেফতার
জানা গিয়েছে, পরেশকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর সেখান থেকে তাঁকে কেরালায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জেরার সময় খুনের কারণ জানতে পারেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, আশিকুলের থেকে ৩০ হাজার টাকা পেতেন পরেশ। বহুবার আশিকুলের থেকে সেই টাকা তিনি চেয়েছিলেন। কিন্তু, টাকা দেননি আশিকুল। এরপর পরেশের খুব রাগ হয়। তখনই ঘুমন্ত অবস্থায় আশিকুলের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। তাতেই মৃত্যু হয় আশিকুলের। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাট করার জন্য দেহ পুঁতে দেন নির্মীয়মাণ বহুতলের নিচে। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছেন গণেশ। সেই মতো মাটি খুঁড়ে আশিকুলের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন, শুধু ভবানীপুরেই নয়, ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় লড়াইটা শুরু BJP প্রার্থী প্রিয়াঙ্কার
আরও পড়ুন- কয়লাকাণ্ডে অভিষেককে ফের তলব ইডি-র, চলতি মাসেই হাজিরার নির্দেশ
এদিকে এই ঘটনার পরই ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান পরেশ ও গণেশ। পরে পরেশের খোঁজ পাওয়া গেলেও এখনও পর্যন্ত গণেশের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, কেরালা থেকে আশিকুলের দেহ মুর্শিদাবাদে আনার ব্যবস্থা করছে পুলিশ। আজ রাতেই দেহ নিয়ে আসা হতে পারে। মৃতের গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।