সংক্ষিপ্ত
আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব আগামীকাল থেকে কেটে যাবে এবং আবহাওয়ার উন্নতি হবে।
চলতি মরশুমে শীতের (Winter) প্রায় দেখা পাওয়াই যায়নি। পৌষের শুরুতে কয়েকটা দিন জাঁকিয়ে ঠান্ডা (Cold Weather) পড়লেও তারপর আর ঠান্ডার দেখা পাওয়া যায়নি। একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও ঘূর্ণঝড়ের দাপটে উত্তুরে হাওয়া ঠিক করে প্রবেশ করতে পারেনি রাজ্যে। তার ফলে এবার রাজ্যবাসী জাঁকিয়ে শীতের অনুভূতি সেভাবে উপভোগ করতে পারেননি। এদিকে এখনও রাজ্যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা দাপট দেখাচ্ছে। আর তার প্রভাবে মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি (Rain) হচ্ছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। তার মধ্যেই আজ রাজ্যের তাপমাত্রা (Temperature) কমল অনেকটাই।
বৃহস্পতিবার বাংলার তাপমাত্রা ছিল গড়ে ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সেই তাপমাত্রা এক ধাক্কায় নেমে গিয়ে দাঁড়ায় ২০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা এই সময়ের স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও কমেছে। রাতারাতি প্রায় ২ ডিগ্রি পতন রাতের তাপমাত্রাতে। শনিবার আরও কমল তাপমাত্রা। শুক্রবার রাতের তাপমাত্রা নামে ১৬. ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা এই সময়ে স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। শনিবার বিকেলের পর থেকে সেই তাপমাত্রা আরও অনেকটা কমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- বিয়ে-মেলায় শর্ত সাপেক্ষে ছাড়, বিধি-নিষেধ বাড়ল ৩১ জানুয়ারি অবধি রাজ্যে
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipore Weather Department) তরফে জানানো হয়েছে, আজ দক্ষিণবঙ্গের ২ মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। আগামী চারদিন আকাশ পরিষ্কার থাকবে। কলকাতায় আগামীকাল থেকে কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতার (Kolkata) সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগামীকাল ২৩ ও ১৫ আশপাশে থাকবে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব আগামীকাল থেকে কেটে যাবে এবং আবহাওয়ার উন্নতি হবে। আগামী তিনদিন দক্ষিণবঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমবে। উত্তরবঙ্গে ও রাতের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমে যাবে।
আরও পড়ুন- করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মনষ্কামনা পূর্ণ করতে নিয়ম মেনে পুরুলিয়ায় পালিত আখ্যান যাত্রা
চলতি মরশুমে জাঁকিয়ে শীতের দাপট বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এমনকী জানুয়ারির প্রথম দিকেও তেমন ঠান্ডার আমেজ দেখা যায়নি রাজ্যে। নেপথ্যে পরপর তিনটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। তাই যে তাপমাত্রা কমেছিল সেটাও বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ৫ জানুয়ারি থেকে আবার রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। তবে আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, ১৩-১৪ তারিখ নাগাদ ফের তাপমাত্রা কমতে পারে। পূর্বাভাস মতোই তাপমাত্রা কমেছে দুই বঙ্গে। গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের দিন ঠান্ডা বেশ ভালোই পড়েছিল রাজ্যে। তবে তা উপেক্ষা করেই সাগরে স্নান সারেন পুণ্যার্থীরা। তবে কুয়াশার দাপটে নাজেহাল উত্তরবঙ্গবাসী। ভোরের রাস্তায় দৃশ্যমানতা এতটাই কম থাকছে, যে গাড়ি দুর্ঘটনার প্রবণতা থাকছে বেশি। সেক্ষেত্রে অতি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।