সংক্ষিপ্ত
ব্যবসায়ীরা কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন এই প্রতিশ্রুতি দিলে প্রশাসন হাটখোলার অনুমতি দেয় বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই ব্যাপারে যে সরকারের উপর লাগাতার চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছিল হাওড়া হাটের ব্যবসায়ীরা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এখনও কমেনি করোনার চোখ রাঙানি (Coronavirus in West Bengal)। যদিও ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের চাপে খুলে গেল হাওড়ার মঙ্গলাহাট (Howrah Manglahat)। যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে চাপানউতর। সূত্রের খবর, এখন থেকে রবিবার, সোমবার এবং মঙ্গলবার হাওড়া ময়দান (Howrah Maidan) চত্বরে বসতে চলেছে এই হাট। নতুন করে হাট খোলার বিষয়ে শুক্রবার এবং শনিবার হাওড়া হাটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হাওড়া পুরসভার (Howrah Municipality) প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তীর দু'দফা বৈঠক হয় বলে জানা যায়। ব্যবসায়ীরা কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন এই প্রতিশ্রুতি দিলে প্রশাসন হাটখোলার অনুমতি দেয় বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই ব্যাপারে যে সরকারের উপর লাগাতার চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছিল হাওড়া হাটের ব্যবসায়ীরা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
যদিও সুজয়বাবু নিজে ব্যবসায়ীদের চাপে নতি স্বীকারের কথা অস্বীকার করেন। এদিকে গত কয়েক দিন লাগামছাড়া কোভিড সংক্রমনের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল হাওড়া ময়দান এলাকার মঙ্গলাহাট। যার জেরে বিপাকে পড়েন এক লক্ষের বেশি ছোট-বড় ব্যবসায়ী এবং প্রায় ১০ লক্ষের মত ক্রেতা।এদিকে পুলিশ এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে গত রবিবার, সোমবার এবং মঙ্গলবার মঙ্গলাহাটে বিক্রিবাটা বন্ধ থাকে। এর প্রতিবাদে হাটের ব্যবসায়ীরা কোনা এক্সপ্রেস ওয়ে এবং হাওড়া ময়দানে দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করেন বলে দেখা য়ায়। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
আরও পড়ুন-অভিষেক ইস্যুতে কল্যাণ-অপরূপা তরজা নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের, আক্রমণ নির্বাচন কমিশনকেও
এমতাবস্থায় দেখা যায় গত সোমবার হাওড়ার শরৎ সদনে হাট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে হাওড়া পুরসভার কর্তারা। সমস্যা সমাধানের রাস্তা বের করতে চলে দফায় দফায় আলোচনা। এমনকী পুরসভার পক্ষ থেকে হাট ব্যবসায়ীদের কাছে হাট খোলার জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য ছিল হাটখোলা থাকলে কিভাবে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব তা নিয়ে মমতামত জানতে চাওয়া। এমনকী এই বিষয়ে তাদের লিখিত প্রস্তাবও দিতে বলা হয়। সেইমতো হাট ব্যবসায়ীরাও তাদের প্রস্তাব লিখিত আকারে পুরসভার কাছে দেয়।
আরও পড়ুন-‘সময় হলেই বোম ব্লাস্ট করব’, ফের বিস্ফোরক মন্তব্য শান্তনু ঠাকুরের
এরপরই শুক্রবার এবং শনিবার হাট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তীর দু'দফায় বৈঠক হয় বলে খবর। তবে হাওড়া জেলা হাসপাতাল, হাওড়া কোট, জেলাশাসকের অফিস, হাওড়া পুরসভা এবং প্রশাসনের মূল অফিসগুলি থাকার কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাট চালু রাখার আপত্তি ওঠে। যা নিয়েও তৈরি হয় নতুন জল্পনা। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই হাট সংলগ্ন এলাকায় স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি ক্রেতা এবং বিক্রেতা যাতে সবাই মাক্স পড়েন সেই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে শুরু হয়েছে প্রচরাভিযান।