সংক্ষিপ্ত
- শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে জন্ম কন্যা সন্তানের
- ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করতে কালঘাম ছুটল বাবার
- দিদিকে বলোতে জানিয়েও হল না সুরাহা
- এগিয়ে আসলেন শিলিগুড়ি শহরের কিছু বাসিন্দা
মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সদ্যজাত। অন্যদিকে, সদজাতের জন্য ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করতে কালঘাম ছুটল বাবা বিক্রম সূত্রধরের। শিলিগুড়ির অরবিন্দপল্লীর বাসিন্দা বিক্রমবাবু নিজের একমাত্র মেয়েকে বাঁচাতে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার থেকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, সবার কাছেই দরবার করেন। কিন্তু মেলেনি সুরাহা। শেষ পর্যন্ত দিদিকে বলোর দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু সেখান থেকেও ফিরতে হয় খালি হাতে। অবশেষে শুভাকাঙ্খীদের দৌলতে মিলল ভেন্টিলেটর।
সোমবার দুপুরে শিলিগুড়ির এক নার্সিংহোমে জন্ম হয় বিক্রম সূত্রধরের সদ্যজাত কন্যার। জন্ম লগ্নেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগতে শুরু করে সে। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন ভেন্টিলেশনের। যদিও দিনমুজুর বাবার পক্ষে সেই খরচ বহন করা সম্ভব ছিল না। এরপরেই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে বিক্রম সূত্রধর ছুটে যান শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। কিন্তু লাভ হয়নি। খালি হাতেই ফিরতে হয় তাঁকে। অবশেষে অভিযোগ জানান দিদিকে বলো'য়৷ ফোনে সমস্ত অভিযোগ শুনলেও সমাধান সূত্র বাতলে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ।
মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সদ্যজাত মেয়ে। মেয়েকে বাঁচাতে ইতিউতি ছুটে চলছেন বাবা৷ এমন সময় এগিয়ে আসেন শিলিগুড়ি শহরের একদল শুভাকাঙ্ক্ষী। নাম পরিচয় জানার আগেই তারা ওই নবজাতকের চিকিৎসার জন্য ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করে দেন। তাঁদের সুপারিশেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা হল।
এবিষয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান ডঃ রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাসপাতালে মোট ছয়টি ভেন্টিলেটর রয়েছে৷ যদিও এসএনসিইউতে ভেন্টিলেটর নেই। উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে এই ব্যবস্থার প্রতি জোর দেওয়া হচ্ছে৷