সংক্ষিপ্ত
- দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অশান্ত তেলিনিপাড়া
- পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বিরোধীদের
- রাতারাতি অপসারিত ভদ্রেশ্বর থানার ওসি
- তাঁকে বদলি করে দেওয়া হল বাঁকুড়ায়
তেলিনিপাড়ায় অশান্তির জেরেই কি রদবদল? রাতারাতি হুগলির ভদ্রেশ্বর থানার ওসি নন্দন পাণিগ্রাহীকে সরিয়ে দিল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার থানার দায়িত্ব নিলেন কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুরে সাইবার ক্রাইম থানার ওসি পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। ভদ্রেশ্বর থানার সদ্য প্রাক্তন ওসি-কে বদলি করা দেওয়া হয়েছে বাঁকুড়ায়।
আরও পড়ুন: আলিপুর পুলিশ ক্যান্টিনে কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার,কবে থেকে পড়ে বডি তদন্তে পুলিশ
রবিবার সন্ধেবেলায় ভদ্রেশ্বর থানার তেলিনিপাড়ায় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত এলাকায় দফায় দফায় চলেছে বোমাবাজি, গুলি। ঘটেছে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের মতো ঘটনাও। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশাল পুলিশবাহিনী, এমনকী কমব্যাট ফোর্সও মোতায়েন করে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। এমনকী, গুজব রুখতে চন্দননগর ও শ্রীরামপুর মহকুমার সর্বত্রই ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বন্দিদের সংঘর্ষে ফের উত্তাল বারুইপুর সংশোধানাগার, আহত বেশ কয়েকজন
তেলিনিপাড়ায় অশান্তির ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন বিজেপি-র স্থানীয় নেতারা। বুধবার হুগলির জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁর দপ্তরে যান বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও অর্জুন সিং। কিন্তু অনুমতি না পেয়ে চুঁচুড়ায় জেলাশাসকের দপ্তরের সামনেই ধর্নায় বসে পড়েন দু'জনই। জানা গিয়েছে, ঘণ্টা দেড়েক পর খবর আসে, জেলাশাসক তাঁর অফিস নেই। অন্য কোনও আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হননি লকেট ও অর্জুন। শেষপর্যন্ত যখন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে দেখা করতে ভদ্রেশ্বর থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেন, তখন মাঝ-পথ থেকে দুই সাংসদকে পুলিশ ফেরত পাঠিয়ে দেয়। ভদ্রেশ্বর থানার ওসিকে অপসারণ ও চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।