সংক্ষিপ্ত
পঞ্চায়েতে দুর্নীতি রুখতে তৎপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় শাসকদের নেতা কর্মীদের দুর্নীতি খুঁজতে নবান্ন ত্রিফলা নজরদারী চালাবে।
একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসতে কিছুটা হলেও চাপ বাড়ছে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ওপর। আর সেই কারণেই তৎপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় শাসকদের নেতা কর্মীদের দুর্নীতি খুঁজতে নবান্ন ত্রিফলা নজরদারী চালাবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে রীতিমত কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে নবান্ন। আগেই অবশ্য দলীয় নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে ডিসেম্বরে পঞ্চায়েত ভোট হবে না। ভোট হবে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের পরে। তেমনই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে।
নবান্নের ত্রিফলা নজরদারিঃ
সূত্রের খবর নবান্নের তরফে পঞ্চায়েতে দুর্নীতি খুঁজতে তৈরি হচছে পাঁচটি অডিট টিম। প্রতিটি টিমে থাকবে একজন করে অডিটর। সঙ্গে থাকবেন এক জন ইঞ্জিনিয়ার, ১ ডাব্লুবিসিএস অফিসার। পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে অভিযোগ জানানোর জন্য বিশেষ পোর্টাল। যেখানে পঞ্চায়েতের দুর্নীতি সংক্রান্ত কথা জানাতে পারবেন গ্রামের মানুষ। তবে তাদের নিরাপত্তার জন্য পোর্টালে তাদের নাম গোপন রাখারও ব্যবস্থা হচ্ছে। এছাড়াও তৈরি খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। দুর্নীতি রুখতে এই ত্রিফলা নজরদারির ব্যবস্থা করতে চলছে নবান্ন।
এছাড়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও নবান্ন গ্রহণ করতে চলছে বলে সূত্রের খবর। একই পঞ্চায়েতে টানা তিন বছর বহাল থাকা আধিকারিকদের দ্রুত অন্যত্র বদলি করা হতে পারে। তাতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তৈরি করা যাবে বলেও মনে করছে নবান্ন।
আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অনুব্রত মণ্ডল - কাণ্ডে কিছুটা হলেও চাপ বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দলের ভাবমূর্তি। বিরোধীদের লাগাতার আন্দোলনে দলীয় কর্মীদেরও মনবল ভেঙে যাচ্ছে। দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে আর বিরোধীদের মুখের ওপর জবাব দিতে নবান্ন দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পথে হাঁটছে। তেমনই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর এই বিষয় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোরাধ্যায়।
অন্যদিকে রাজ্যের একাধিক জেলায় ঘুরেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ১৫ সদস্যের একটি দল। তারাও রিপোর্ট তৈরি করছে। কেন্দ্রীয় সরকার আগেই অভিযোগ তুলেছে এই রাজ্যে কেন্দ্রের প্রকল্পগুলির সুবিধে পান না গ্রামের মানুষ। ১০০ দিনে কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনা- সবেতেই আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির। এই পরিস্থিতিতেত স্বচ্ছ প্রশাসনিক ও পঞ্চায়েতি রাজ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে নজরদারি চালানোর পথেই হাঁটছে তৃণমূল সরকার।
বাংলা জুড়ে আবার ভোটের দামামা, কবে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন?
অনুব্রত ঘনিষ্ট ৩ তৃণমূল নেতা গ্রেফতার, বীরভূমে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নতুন করে সক্রিয় সিবিআই