সংক্ষিপ্ত

  •   'পুলিশি নির্যাতনে'র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কোচবিহারে
  • পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ তরফে ধিক্কার দিবস পালন 
  • প্রতিবাদে অনশনে নেমেছেন পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকারা
  •  প্রতিটি জেলা থেকে ধীক্কার মিছিল বের হওয়ার অনুরোধ

  পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোচবিহার জেলার পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকাদের ধিক্কার দিবস পালন করা হয়েছে। মূলত সদ্য কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া পার্শ্ব শিক্ষকদের উপর   পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগেই এই ধিক্কার দিবস পালন করেছে কোচবিহার জেলা পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ তরফে।

 

 


কোচবিহার জেলার পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ তরফে জানানো হয়েছে,'  ৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় পার্শ্ব শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের উপর যে রকম পুলিশি অত্যাচার নেমে এসেছিল, তারই প্রতিবাদে ধীক্কার মিছিল সংঘটিত করেছি আমরা। আমরা চাইব প্রতিটি জেলার পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ থেকে এরকম ধীক্কার মিছিল বের হোক। রাজ্য প্রশাসনের এই বর্বরোচিত আচরণ এবং পুলিশ প্রশাসনের এই নিন্দনীয় লাঠিচার্জ এবং রাজ্যের পার্শ্ব শিক্ষক নের্তৃত্বদের যেভাবে অকারমে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার প্রতিবাদেই এই ধীক্কার মিছিল।' এবং পাশাপাশি যারা এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে কোচবিহার জেলার পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ তরফ থেকে। অনশনকারী পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকাদের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছেন তাঁরা- ১) নদিয়ার  হাবিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের  পার্শ্ব শিক্ষক অমল রায় । ২) উত্তর চব্বিশ পরগনার  বীরপুর এফ পি স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষক ওসমান আলী ৩)   পূর্ব বর্ধমানের রায়না জগৎ মাতা আঞ্চলিক বালিকা বিদ্যালয় পার্শ্ব শিক্ষক মিষ্টি সামন্ত। ৪) মশিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয় পার্শ্ব শিক্ষক অরবিন্দ রায়।

 

 


সম্প্রতি পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ জানিয়েছিলেন,  '২০০৪ এবং ২০০৭ সালের মেরিট লিস্টের মাধ্যমে শিক্ষা দফতরের আন্ডারে আমাদের নিয়োগ করা হয়। আজ ১৬ বছর হল আমরা কাজ করছি। পূর্ণ শিক্ষকের সব দায়িত্বই সামলাচ্ছি আমরা। জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ কী না করেছি আমরা। বিপিএল কার্ডের লিস্ট থেকে শুরু করে, ভোটার-আধার কার্ডের সংশোধন সবই আমরা করছি।  এদিকে ১০ বছর অতিক্রান্ত। রাজ্য সরকারের বিন্দুমাত্র কোনও হেলদোল নেই। কিন্তু প্রতিবারই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় পার্শ্ব শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তারপরে আর কোনও কিছু করা হয় না। তিনি আরও বলেন, পার্শ্ব শিক্ষকেরা বেতনে যে টাকা পান তাঁতে সংসার চালানো দুঃসাধ্য। প্রাথমিকে ৮,৮০০ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ১১,৩০০ টাকা মেলে। এভাবে পরিবারকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে একের পর এক পার্শ্ব শিক্ষক এই যন্ত্রনা সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করছেন। উল্লেখ্য জানুয়ারি মাসেই আত্মঘাতী হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পার্শ্বশিক্ষক বছর পঞ্চাশের দুলাল চন্দ্র দে।


উল্লেখ্য এদিকে ভোটের মুখে এবারের বাজেটে পার্শ্ব শিক্ষকদের দাবি মেনে নিয়েছে রাজ্য। পার্শ্ব শিক্ষকদের  বেতন বৃদ্ধি নিয়ে বাজেট পেশের সময় ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এবার থেকে ৩ শতাংশ হারে বাড়বে  পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন। একই সঙ্গে  পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য এককালীন অবসরকালীন ভাতারও ঘোষণা করেছেন তিনি।