সংক্ষিপ্ত
- কেরলে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় একাধিক যাত্রীর মৃত্যু
- রক্ষাকর্তা হিসাবে এগিয়ে এসেছিলেন হুগলির বাঙালি যুবক
- প্রচুর যাত্রীকে বিমান থেকে নামতে সাহায্য করেন বলে খবর
- ছেলে অভীক বিশ্বাসের কাজে গর্বিত মা-বাবা
উত্তম দত্ত : গতকাল কেরলে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় কয়েক জন মারা গেলেও অনেক যাত্রী রক্ষাও পেয়েছেন । আর রক্ষাকর্তাদের মধ্যে ওই অভিশপ্ত বিমানের একজন কেবিন ক্রু ' র নামও ভেসে উঠেছে । তিনি প্রচুর যাত্রীকে বিমান থেকে নামতে সাহায্য করেন বলে খবর। আর এই কেবিন ক্রু হলেন এক বাঙালি যুবক অভীক বিশ্বাস। বাড়ি হুগলির কোন্নগরে ।
এদিন সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে গেলে অভীকের বাবা অজয় বিশ্বাস বলেন, তিনি ছেলের জন্য গর্বিত । যেভাবে সে যাত্রীদের রক্ষা করেছে ..তবে এটা ওর কর্তব্যর মধ্যে পড়ে। " It is his duty"। গতকাল কেরলে কালিকট বিমানবন্দরে রানওয়ে থেকে পিছলে খাদে পড়ে দু' টুকরো হয়ে যায় একটি বিমান। ওই ঘটনায় দুই পাইলট সহ ১৯ জনের মৃত্যু হয় । বন্দে ভারত মিশনের বিমানে চেপে দুবাই থেকে দেশে ফিরছিলেন ১৯০জন ভারতীয়। বিভিন্ন কারণে সেখানে যাঁরা এতদিন আটকে ছিলেন তাঁদেরই আনা হচ্ছিল এই বিমানে।
কিন্তু বৃষ্টিভেজা রানওয়েতে নামতে গিয়েই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে । এদিন খবর পেয়েই কোন্নগর ঘোষাল বাগান এলাকায় অভীকের বাড়িতে শুভানুধ্যায়ীরা ভিড় করেন । কোন্নগর এলাকার নামী ব্যবসায়ী অভীকের বাবা অজয় বিশ্বাস। ইঁট, বালির মস্ত গোলা আছে তাঁর । এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে অভীক ছোট। মেধাবী ছাত্র হওয়ায় তিন বছর আগে মাত্র ২১ বছর বয়সে সে এয়ার ইন্ডিয়ায় চাকরি পেয়ে যায়।
অজয়বাবুর কথায়, " অ্যাকসিডেন্ট তো বলে কয়ে হয় না অ্যাকসিডেন্ট অ্যাকসিডেন্টই । এত হতেই পারে। তবে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি ভবিষ্যতে যেন আর এরকম না হয়। আমরা খবরটা পেয়ে খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম। তবে কাল গভীর রাতে ফোন করে ছেলে জানিয়েছিল সে সুস্থ আছে । অনেককে সে সেভ করতে পেরেছে । পাশাপাশি বলেছে চিন্তা করোনা। আর এখন আমি ফোন করতে আর পারব না । তোমরাও আর ফোন কোরো না," জানান অজয়বাবু । মা ভারতী বিশ্বাস বলেন, তাঁর সন্তানের শুভ কামনার পাশাপাশি আহত যাত্রীরা যাতে তাড়াতাড়ি সেরে ওঠেন ভগবানের কাছে সেই প্রার্থনাই তিনি করছেন।