সংক্ষিপ্ত
অনুব্রতকেও গ্রেফতার করা হয়েছে শুনে যথেষ্ট চিন্তিত হতে দেখা যায় পার্থকে। কারারক্ষীদের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘অনুব্রত কি এই জেলেই আসবে?’’ বিজেপি নেতা রুদ্রনীল মন্তব্য করেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের জেলে তো এত জায়গা নেই।”
সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পর কেটে গিয়েছে গোটা একটা দিন। এবার এসএসকেএম হাসপাতালে তাবড় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধেও ছুটে এল ‘গরু চোর’ বিদ্রূপ। এর আগে ইডি-র হাতে ধরা পড়ার পর ভুবনেশ্বর এইমসে চিকিৎসা করাতে গিয়ে, সেখানকার রোগীদের পরিবারের দেওয়া ‘চোর’ স্লোগান শুনতে হয়েছিল প্রাক্তন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
শাসক দলের হাইপ্রোফাইল নেতাদের একের পর এক কুকীর্তি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় পরতে পরতে সরগরম হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি। প্রত্যেক সপ্তাহে নতুন মোড় নিচ্ছে দুর্নীতিবাজদের জমায়েত সম্পত্তি ও সঙ্গীসাথিদের বিষয়-আশয়। শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে কত টাকা তছরুপ হয়েছিল, তার পরিমাণ এখন কিছুটা হলেও পরিষ্কার হয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। কিন্তু গরু পাচার কাণ্ডে কত টাকা লেনাদেনা হত এবং কতই বা ঢুকেছিল অনুব্রত মণ্ডলের ভাঁড়ারে, তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছেন সরকারি গোয়েন্দারাও।
সাম্প্রতিক সমস্ত রাজনৈতিক আপডেট অবশ্য জেলের ভিতরে পৌঁছতে পেরিয়ে যাচ্ছে বেশ কিছুটা সময়। প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশ নম্বর ওয়ার্ডের সেল টু-এর বাইরে এসে পায়চারি করার সময় হেভিওয়েট বন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় হঠাতই খবর পেলেন যে গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্ভবত কারারক্ষীদের কানাঘুষোয় তিনি এই খবর সম্পর্কে অবগত হন।
অনুব্রতকেও জেলবন্দি করা হবে, বা হতে পারে শুনে যথেষ্ট চিন্তিত হতে দেখা যায় পার্থকে। পায়চারি করা থামিয়ে স্বাভাবিক কৌতূহলবশত কারারক্ষীদের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘অনুব্রত কি এই জেলেই আসবে?’’ বলা বাহুল্য, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর এই প্রশ্ন জেলের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, বাইরের সাধারণ মানুষ ছাড়াও জেলের ভিতরেই ‘চোর’ বিদ্রূপ শুনতে হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। জেলবন্দিরা অনেকে ‘চোর’ ‘চোর’ ছাড়াও কখনও কখনও ‘অর্পিতা!’ ‘অর্পিতা!’ বলেও ঠাট্টা বা চিৎকার জুড়ছেন। এই অবস্থায় একই জেলে অনুব্রত মণ্ডলকে রাখা হলে কী পরিস্থিতি তৈরি হবে, তা অবশ্য নির্ভর করছে জেল কর্তৃপক্ষ এবং ওয়ার্ড মেটদের তৎপরতার ওপর।
যদিও বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ শাসকদলকে কটাক্ষ করে বলেছেন, "খুব চিন্তা হচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গের জেলে তো এত জায়গা নেই। এত বেশি মানুষ আছেন, যাঁরা বালতি-গামছা চুরি করে শান্তিতে জেলে রয়েছেন, এখন তাঁরা কোথায় যাবেন? আমার মনে হয় পার্শ্ববর্তী যে রাজ্যগুলি রয়েছে সেখানে যদি একটু অনুরোধ করা হয় একটু জায়গা করে দেওয়ার জন্য।”
আরও পড়ুন-
'অনুব্রত মণ্ডল হল মাফিয়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি এসব' বললেন শুভেন্দু অধিকারী
'৩০০০ কোটি টাকার দুর্নীতিতে যুক্ত তৃণমূল', বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দু-র
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পার্কিং লটটিও ‘বেআইনি’! এবার শুরু নতুন জলঘোলা