সংক্ষিপ্ত
- দিতে হবে চার হাজার টাকা
- টাকা দিলেই মিলবে সরকারি চাকরি
- তেমনই দাবি আসানসোলের এক ব্যক্তির
- কোর্ট ফি বাবদ নিজেই নিচ্ছেন সেই টাকা
তৃণাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়- হঠাৎ শুনলে বেশ খুশি হবেন চাকরিপ্রার্থীরা। কারণ যে সে চাকরি নয়, খোদ সরকারি চাকরির অফার মিলছে। এ এক বিস্ময়কর খবর। মাত্র চার হাজার টাকা কোর্ট ফি দিলেই মিলবে চাকরি। তাও আবার কেন্দ্র সরকার বা রাজ্য সরকারের চাকরি। রাস্তা ঘাটে বা ব্রিজের নীচেই চলছে ফর্ম ফিলাপ। তাও আবার কেন্দ্র সরকারের ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের ফর্ম।
এই ফর্মে স্ট্যাম্পও দেওয়া রয়েছে। যে ব্যক্তি এই চাকরির অফার দিচ্ছেন, তিনি রাস্তাঘাটে ঘুরে রীতিমত ফর্ম ফিলাপ করাচ্ছেন। সেই সমীরণ মন্ডলের দাবি তিনি রীতিমত আইন মেনেই সব কাজ করছেন। স্কুটার নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন তিনি। তাঁর স্কুটারে লেখা রয়েছে হাই ভোল্টেজ কমিটি। রাস্তাতেই ফর্ম ফিলাপ হচ্ছে। আবার প্রয়োজনে সমীরণ বাবু নিজেই কোর্ট ফি বাবদ ওই চার হাজার টাকা নিচ্ছেন।
আবার কখনো ইচ্ছুক প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন কোর্টে। দাবি করছেন আগামী ১২ তারিখ নাকি স্পট জয়েনিং হবে। শুধু তাই নয়, সাংবাদিক সম্মেলন করেও একথা বলেছেন তিনি। খবর পেয়ে তার কাছে ছুটছে ইচ্ছুক প্রার্থীরা। কেউ চার হাজার টাকা নগদ দিচ্ছেন। কেউ আবার সঙ্গে যাচ্ছেন। রাস্তাতেই ফর্ম ফিলাপ করছেন। চাকরির আশায় তারা টাকাও দিচ্ছেন।
দেশ বা রাজ্য জুড়ে যখন চাকরির হাহাকার, সেখানে আসানসোলের রাস্তায় চাকরির ফর্ম। নিজেকে হাই ভোল্টেজ কমিটির কনভেনার বলে বেকার যুবকদের সরকারি চাকরি দেবার কথা বলছেন সমীরণ বাবু। তাতেও আবার মাত্র চার হাজার টাকার বিনিময়ে। প্রশ্ন উঠেছে - যে এই ব্যক্তি ? কেন চাকরির কথা বলছেন ? মানুষ কেন টাকা দিচ্ছে ? কি করছে প্রশাসন ? আদৌ কি এই ভাবে চাকরি হয়?