সংক্ষিপ্ত
- লাকি ড্র-এর আড়ালে প্রতারণার ফাঁদ
- পুলিশি তৎপরতায় রক্ষা পেল কৃষক পরিবার
- মোবাইলের সূত্রে ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত
- মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার ঘটনা
লাকি ড্র-এর ফাঁদ পেতে প্রতারণার চেষ্টা! পুলিশি তৎপরতায় রক্ষা পেয়েছেন কৃষক পরিবারের সদস্যরা। আর এবার ধরা পড়ে গেল প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডাও। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার শ্রীপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ফের কংগ্রেসে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ দিলেন বাদুড়িয়ার বিধায়ক
ঘটনাটি ঠিক কী? মুর্শিদাবাদের শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা আবেদিন শেখ। পেশায় তিনি কৃষক। চাষাবাদ করে সামান্য যা রোজগার হয়, তা দিয়ে কোনওমতে সংসার চলে তাঁর। দিন কয়েক আগে লাকি ড্র-এর বিজেতা হিসেবে হোয়াটস মারফৎ ২৫ লাখ টাকার চেক পান আবেদিন! চেকটি পাঠানো হয়েছিল কেবিসি কোশ্চেন নামে ভিন রাজ্য়ের একটি সংস্থার তরফে। শুধু তাই নয়, ওই সংস্থার তরফে রানা প্রতাপ সিং নামে এক ব্যক্তি বারবার যোগাযোগ টাকা সংগ্রহের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। প্রতারিতের দাবি, লাকি ড্র-এর টাকা পাওয়ার জন্য 'বিজেতা'-কে ব্য়াঙ্কে একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে বারো হাজার টাকা জমা করতে বলা হয়। পুরস্কার পাওয়ার জন্য টাকা জমা করতে হবে কেন? সন্দেহ হওয়ায় গ্রামের লোকজনকে গোটা বিষয়টি জানান আবেদিন শেখ।
আরও পড়ুন: ৩৯ বছর পর বন্ধুকে ফিরে পাওয়া, ছোটবেলা ফেরাল 'হ্য়াম রেডিও'
খবর পৌঁছে যায় হরিহরপাড়া থানায়ও। এরপর যে ব্যক্তি নিজেকে কেবিসি কোশ্চেন সংস্থার আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল, সে রানা প্রতাপ সিং-কে বেশ কয়েকবার ফোন করে পুলিশ। কিন্তু একবারের বেশি ফোন ধরেনি সে। তদন্তকারীদের জাবি, বারো হাজার হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই লাকি ড্র গল্প ফেঁদেছিল প্রতারকরা। শেষপর্যন্ত শুক্রবার মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখে প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডা রানা প্রতাপ সিং-কে গ্রেফতার করা হয়। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত আরও বেশ কয়েকজনের হদিশ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করতে নারাজ পুলিশ আধিকারিকরা।