সংক্ষিপ্ত

মালদহে মাদক পাচারের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃত ওই পাঁচ জনের থেকে মোট ৫১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। 

মালদহে ( Malda ) মাদক পাচারের (Drug trafficking) অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ (Police)। ধৃত ওই পাঁচ জনের থেকে মোট ৫১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। ধৃতদের রবিবার মালদহের বিশেষ আদালতে (Court)  তুলে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে নাকা চেকিং চলাকালীন একটি মারুতি গাড়ি সহ ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি বস্তায় ৫১ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। ধৃতদের মধ্যে আজিজুল ইসলামের বাড়ি আলিপুরদুয়ার জেলার পূর্ব কাঠালবাড়ি, জয়ন্ত বর্মনের বাড়ি আলিপুরদুয়ারের যোগেন্দ্রনগর, সাদেক মিয়াঁ ও নূর হোসেনের বাড়ি মালদার কৃষ্ণপুরে এবং আব্দুল করিমের বাড়ি কালিয়াচকের নারায়নপুরে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে মালদহ এলাকাতেই একটি বড়সড় মাদকপাচারের ঘটনার পর্দা ফাঁস করেছে পুলিশ।যৌথ অভিযান চালিয়ে মালদহে বিপুল পরিমাণ মাদক ট্যাবলেট এবং এক কেজি ব্রাউন সুগার  উদ্ধার করল এসটিএফ ও  পুলিশ । গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে, একটি লরিকে আটক করে পুলিশের ওই বিশেষ শাখা । এরপর সেখানে তল্লাশি চালিয়েই ওই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার   করা হয়। কালিয়াচকের বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনাটি ঘটেছে। লরিতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১৩ হাজার ৭০০ ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১ কেজি ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হওয়া ব্রাউন সুগার ও ইয়াবার মূল্য এক কোটি টাকারও বেশি বলে জানিয়েছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে পাচারে ব্যবহৃত লরিটিকে। ১২ চাকার ওই লরিতে লুকিয়ে মাদক দ্রব্যগুলি পাচার করা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় অপরাধীরা।

আরও পড়ুন, Cyclone Jawad: জাওয়াদের প্রভাবে ডুবল নৌকা, জলোচ্ছ্বাস সুন্দরবনের নদীতে, কী অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের

রবিবার ধৃতদের মালদহের বিশেষ আদালতে তোলা হয়েছে। আদালতে পাঁচ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এই পাঁচজন গাজা পাচারের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই যুক্ত। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নাকা চেকিং চালিয়ে শনিবার রাতে এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ মাদক পাঠার হয়েই চলেছে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে, তা নিয়ে চিন্তায় সাধারণ মানুষ। কারণ কোভিড বর্ষে একাকীত্ব কাটানোর লোভ দেখিয়ে অনেক অল্পবয়সীদেরই এই অন্ধকারে টেনে নিয়ে আশা হচ্ছে। তার পাশাপাশি বর্ষশেষের মাসে রাজ্যে ইয়ংস্টারদের মধ্যে মাদক ছড়িয়ে সমাজের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা চলছে বলে দাবি সাধারণ মানুষের।