সংক্ষিপ্ত
হলদিয়ায় গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডের সপ্তাহ পেরোনোর আগেই রহস্যের কিনারা করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকার গলা কেটে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল প্রেমিককে।
হলদিয়ায় গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডের সপ্তাহ পেরোনোর আগেই রহস্যের কিনারা করল পুলিশ। উল্লেখ্য, রাজ্যে একের পর এক খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় এমনিতেই চাপে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তার উপর আবার এই অপরাধের ঘটনার জন্য পুলিশের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। আর এবার হলদিয়ায় গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পার করার আগেই গোটা ঘটনা চোখের সামনে তুলে শিকড়ে পৌছল রাজ্য পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকার গলা কেটে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল প্রেমিককে।
উল্লেখ্য, ২০ এপ্রিল পূর্ব মেদিনীপুর হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকায় টুম্পা ঘোষ নামে এক মহিলার গলাকাটা দেহ উদ্ধার করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মৃত মহিলা ভগবানপুর থানার কোটলাউড়ির বাসিন্দা। বুধবার থেকেই নিঁখোজ ছিলেন তিনি। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানার খরিকার বাসিন্দা সঞ্জয় মান্নাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ধৃতকে মহাকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ধৃতকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন, মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে 'ধর্ষণ', দিনাজপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বছর ১৬-র কন্যা
বুধবার ভবানীপুর থানায় সাংবাদিক বৈঠকে হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পাণ্ডে বলেন, 'ধৃতকে জেরা করে জানতে পেরেছি, ঘটনার পিছনে রয়েছে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের টানা পোড়েন। এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আশতে চেয়েছিলেন টুম্পা। কারণ তিনি জানতে পেরেছিলেন আগে দুটি বিয়ে করেছিলেন মূল অভিযুক্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানার খরিকার বাসিন্দা সঞ্জয় মান্না।' পুলিশ সূত্রে খবর, ৭ বছর আগে প্রথম বিয়ে করেন সঞ্জয়। যদিও সেটা সুখকর ছিল না।প্রথম পক্ষের স্ত্রী সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে পারিবারিক হিংসার মামলা রুজু করেন। সেই মামলা এখনও চলছে। জানা গিয়েছে, সঞ্জয়ের প্রথম পক্ষে দুই ছেলে রয়েছে। বছর খানেক আগে ফের বিয়ে করেন সঞ্জয়। আর এবার সম্প্রতি তৃতীয়বার বিয়ে করার জন্য টুম্পাকে চাপ দিচ্ছিলেন সঞ্জয়। আর এতে রাজি না হওয়াতেই খুন হতে হয় টুম্পাকে।
আরও পড়ুন, অটোয় নাবালিকার গোপানাঙ্গে স্পর্শ, মানিকতলায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার খোদ পুলিশই
এসডিপিও বলেন, ঘটনার দিন, টুম্পাকে নিয়ে বাইকে বাজকুলে বোনের বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন সঞ্জয়। মাঝরাস্তায় দুজনের বিয়ে করা নিয়ে শুরু হয় ঝগড়া। রাগের মাথায় ছুড়ি দিয়ে টুম্পাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন সঞ্জয় মান্না। ঘটনাস্থলেই টুম্পার মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত, রাজ্যে রাজনৈতিক খুন, ধর্ষণের পাশাপাশি পরকীয়া অর্থাৎ বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জেরে যে একের পর এক খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। তবে পরকীয়ায় সবসময় যে মহিলাই শিকার হচ্ছেন, এমনটা নয়, রাজ্যে একাধিক জেলায় খুন হতে হয়েছে পুরুষকেও।
আরও পড়ুন, ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে তরুণীকে অসংখ্যবার ধর্ষণ, শিউরে উঠেছে কোন্নগরবাসী, ধৃত ৪