সংক্ষিপ্ত
জগদ্দল গুলিকাণ্ডে ২৪ ঘণ্টায় মধ্যেই গ্রেফতার মূল অপরাধী করণ যাদব। সেইসঙ্গে আরও দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে পুলিশ।
জগদ্দল গুলিকাণ্ডে ২৪ ঘণ্টায় মধ্যেই গ্রেফতার মূল অপরাধী করণ যাদব। সেইসঙ্গে আরও দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। বাকিরা হল শুভঙ্কর সিং আর তাপস দে। জগদ্দলে গুলিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল রোহীত দাসের। তাঁর বাবা জানিয়েছেবন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেও মিটিন ১০ জ্ঞান ছিল রোহিতের। সেই সময়ই সে জানিয়েছিল করণ ও বাকিদের নাম। তখন মৃত্যুর কারণও বলেছিল রোহিত।
পুলিশ সূত্রের খবর রোহিতের বাবার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য নিয়েই অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেছিল জগদ্দল থানার পুশিশ। মাত্র দুঘণ্টার মধ্যে জেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় শুরু হয়েছিল তল্লাশি। সেই সময়ি নদিয়া রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল করণকে। করণকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর সোমবার করণসহ বাকিদের পেশ করা হবে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে। ভাটপাড়া শ্যুটআউটের ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই গুলি চলেছে জগদ্দলে। পরপর গুলিকাণ্ডে রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জেলার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে।
প্রতিদিনই সন্ধে নামতেই জগদ্দল থানার ভাটপাড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রেললাইনের ধারে শিবমন্দির তলায় মদ-গাঁজার ঠেকে আসর বসে। শনিবার রাতে সেই আসরে যোগ দেয় রোহিত দাস ও তাঁরই অন্তরঙ্গ বন্ধু করন যাদব। ভাটপাড়ার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তি নিবাস পল্লীতে ভাড়া থাকে রোহিত। আর করন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যসেন নগরের বাসিন্দা। অভিযোগ, ওইদিন মধ্যরাতে নেশার আসরে বচসার জেরে রোহিতের পেটে গুলি মারে করন। পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাড়ির কাছে গিয়েই লুটিয়ে পড়ে রোহিত। তাকে সঙ্গে সঙ্গে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার আগেই রোহিতের মৃত্যু হয়। মৃতের বাবা প্রদীপ দাস রবিবার সকালে জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিল অভিযুক্ত করণ। তবে গোপন সূত্র খবর পেয়ে মূল অভিযুক্ত করণ যাদবকে রানাঘাট থেকে গ্রেপ্তার করে জগদ্দল থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।