সংক্ষিপ্ত

  • খড়্গপুরের মাফিয়া শ্রীনু নাইডু খুন হয়েছে ২০১৭ সালে
  • সেই মামলাতে জেলে বন্দি বাসব রামবাবু ও তার সাকরেদরা
  •  তা সত্ত্বেও নিশ্চিন্তে নেই খড়্গপুর শহর
  •  জেলে বসেই খড়্গপুরের ব্যাবসায়ীদের তোলা চেয়ে হুমকি ফোন আসছে 

খড়্গপুরের মাফিয়া শ্রীনু নাইডু খুন হয়েছে ২০১৭ সালে ৷ সেই মামলাতে জেলে বন্দি বাসব রামবাবু ও তার সাকরেদরা। তা সত্ত্বেও নিশ্চিন্তে নেই খড়্গপুর শহর ৷ জেলে বসেই খড়্গপুরের ব্যাবসায়ীদের তোলা চেয়ে হুমকি ফোন আসছে অহরহ। এমন অভিযোগ পেয়ে গত চারমাস আগে খড়্গপুর শহরের ৫ লিঙ্কম্যানকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷ রবিবার ফের নতুন করে একই অভিযোগ পেয়ে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করল খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ ৷ 

মমতা শপথে গেলেই সরকার উল্টে যায়, মুখ্য়মন্ত্রীর ঝাড়খণ্ড সফরকে খোঁচা দিলীপের

জানা গিয়েছে,বাঁকুড়ার জেলে বন্দি কিছু কুখ্যাত আসামি এই কাজ করছে ৷ ২০১৭ সালে খড়্গপুর শহরের মাফিয়া শ্রীনু নাইডু খুন হয়েছিল ৷ তাকে খুনের ঘটনাতে অপর শিবিরের মাফিয়া বাসব রামবাবু সহ তার সঙ্গে থাকা সঞ্জয় প্রসাদ, কৃষ্ণ,শংকর রাওকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷ বর্তমানে তারা বাঁকুড়া জেলে বন্দি রয়েছে ৷ এই কুখ্যাত মাফিয়ারা জেলে বন্দি থাকার কারণে খড়্গপুর শহরে মাফিয়ারাজ কমবে বলেই আশা করেছিল স্থানীয়রা ৷ কিন্তু তা হয়নি ৷ 

পৌষমেলায় নয়া বিতর্ক, শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত খোদ বিশ্বভারতীর উপাচার্য

উল্টে জেলের ভেতরে থেকেই পরপর খড়্গপুর শহরের ব্যাবসায়ীদের তোলা চেয়ে হুমকি ফোন আসছে ৷ গত চারমাস আগে এক ব্যাবসায়ীকে মোটা টাকা চেয়ে ফোন এসেছিল জেল বন্দি সঞ্জয় প্রসাদের ৷ সঞ্জয় ব্যাবসায়ীকে জানিয়েছিল,সময়ে তাঁর লোক গেলে তাকে যেন টাকাটা দিয়ে দেওয়া হয় ৷ পুলিশ জানতে পেরে ওত পেতে থেকে সঞ্জয়ের ৫ লিঙ্কম্যানকে গ্রেফতার করেছিল ৷ জানানো হয়েছিল বাঁকুড়া জেলেও ৷ তারপরও পরিস্থিতি বদলায়নি ৷ 

মামাবাড়ি থেকে ফেরার পথে কিশোরীকে ধর্ষণ, বাইকে করে বাড়ি পৌঁছে দিল অভিযুক্তরাই

শনিবার ফের খড়্গপুর শহরের এক ব্যাবসায়ীর কাছে ফোন আসে ৷ ৩০ হাজার টাকা লিঙ্কম্যান গেলেই দিয়ে দিতে হুমকি দিয়েছিল সঞ্জয় ও তার সাকরেদরা ৷ এবারও ফের ফোন পাওয়া ব্যাবসায়ী পুলিশকে জানায় ৷ পুলিশ ফের জাল বিছিয়ে অপেক্ষা করে তিনজন লিঙ্কম্যানকে গ্রেফতার করেছে ৷  এদের কাছ থেকে একটি বন্দুক ,একটি গুলি, একটি স্কুটি ও তিনটি মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷  বারবার বাঁকুড়া জেল থেকে কীভাবে ফোন সংগ্রহ করে তোলাবাজি করছে এই ধরনের মাফিয়ারা , তা নিয়ে ব্যাবসায়ী সহ খড়্গপুরের বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন ৷  বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান খড়্গপুরের এক পুলিশ কর্তা ৷