সংক্ষিপ্ত
গৃহবধূর নির্দেশেই লাখ-লাখ টাকার মাদক তারকাঁটা টপকে চলে যেত 'ওপারে' । এলাকা 'এস্কট' করে ৩০ লক্ষাধিক টাকার মাদক সহ মুর্শিদাবাদে বমাল গ্রেপ্তার মহিলা পাচারকারী পান্ডা। এই মামলায় বিচারক শেষ পর্যন্ত তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
গৃহবধূর নির্দেশেই লাখ-লাখ টাকার মাদক তারকাঁটা টপকে চলে যেত 'ওপারে' । এলাকা 'এস্কট' করে ৩০ লক্ষাধিক টাকার মাদক সহ মুর্শিদাবাদে বমাল গ্রেপ্তার মহিলা পাচারকারী পান্ডা। এই মামলায় বিচারক শেষ পর্যন্ত তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন, 'পশ্চিমবঙ্গে চলে শাসকের আইন, আইনের শাসন নয়', ২১-এ 'শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস' পালন শুভেন্দুদের
তার এক আঙ্গুলের নির্দেশেই প্যাকেট বন্দি অবস্থায় থাকা সারি সারি মাদক সটান পৌঁছে যেত কাঁটা তার টপকে ওপার বাংলায়।মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন ডেরা থেকে নিয়ন্ত্রণ করতেন পুরো মাদক কারবারের ব্যবসা। পুলিশের কাছেও সোর্স মারফত খবর এসে পৌঁছে ছিল নানান সময়ে। শেষ পর্যন্ত টিম বানিয়ে বমাল পুরো এলাকা এস্কট করে ইন্দো-বাংলা সীমান্তের মুর্শিদাবাদের টিকিয়া বাড়ি এলাকায় গোপন ডেরা থেকে পুলিশের হাতে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হলো ওই মহিলা মাদক পাচারকারী পান্ডা।বুধবার এই খবর চাউর হতেই জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণে সর্বত্র শোরগোল পড়ে যায়। সাধারণ বাড়ির গৃহবধু হয়ে কী করে ক্রমশ সীমান্তে মাদকপাচার এর অন্যতম পান্ডা হয়ে উঠেছিল মুর্শিদা বেওয়া। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এখন তদন্তকারী পুলিশ দল জোর তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন, ২১-র মঞ্চে চব্বিশে চোখ, BJP-কে দেশ ছাড়া করার হুশিয়ারী মমতার
জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী ঐ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেতেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও মুর্শিদা ও তার সাগরেদ। আজিজুল মন্ডল। আবে তাতে শেষ রক্ষা হয়নি।দুজনেই বিশ্বের কাছে শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করে। দীর্ঘক্ষন তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০লাখ টাকার অধিক ৫০০০ মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। বিশেষ সূত্রে পাওয়া শেষ খবরে জানা যায়, ওই মহিলা মাদক কারবারি পান্ডা মুর্শিদাকে এনডিপিএস আদালতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তোলা হয়। বিচারক শেষ পর্যন্ত তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাঁকে ও তাঁর সাগরেদ আজিজুলকে ম্যারাথন জেরার জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।