সংক্ষিপ্ত

 শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার সীমান্ত এলাকায় রেললাইনের মাঝে থেকে তাজা বোমা উদ্ধার। পৌঁছে যায় স্থানীয় পুলিশ থেকে শুরু করে রেলপুলিশ এবং বম স্কোয়াড।

স্মৃতি উস্কে শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার সীমান্ত এলাকায় রেললাইনের (Rail lines) মাঝে থেকে তাজা বোমা (Bomb) উদ্ধার। এলাকা ঘিরে বোম স্কোয়াড। স্মৃতি এখনোও তাজা। বছর দুই আগে ঠিক এই শীতের মরশুমে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা মুর্শিদাবাদে ঘটে গিয়েছিল এক ভয়াবহ কান্ড। যা কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই রাজ্যের সঙ্গে দেশকেও। নাগরিক আইন বাতিলের দাবির নামে দুষ্কৃতীরা রীতিমতো ধারাবাহিকভাবে মুর্শিদাবাদের লালগোলা, বেলডাঙ্গা, জঙ্গিপুর ,নিমতিতা একাধিক স্টেশন চত্বরে ভাংচুরসহ এক্সপ্রেস, পেসেঞ্জার ট্রেন পুড়িয়ে খাক করে দিয়েছিল। সেই স্মৃতিকে খানিকটা যেন উস্কে দিল সোমবারের ঘটনা (Murshidabad Incident)।

শিয়ালদহ- লালগোলা শাখার লালগোলা ভগবানগোলা স্টেশন এর মাঝে আপ লাইনে তাজা বোমা উদ্ধার কে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তাহলে কি নতুন করে নাশকতার ছকের এর পূর্ব পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে, উঠেছে প্রস্ন। সেই কোটি টাকার প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র। যদিও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা এখনো সম্ভব হয়নি বলেই শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়। বিশেষ সূত্র মারফত জানা গেছে,অন্যান্যদিনের মতোই এদিন ব্যস্ততম এই লালগোলা-শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচল করছিল। আচমকা শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার পীরতলা  হল্ট স্টেশন  স্টেশন ছাড়িয়ে ১৬৮ নম্বর রেলগেটের কাছে রেললাইনের মাঝখানে বোম জাতীয় কিছু পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কয়েকজন।প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও কাছে এগিয়ে যেতেই চক্ষু চড়ক গাছে ওঠে। রীতিমতো রেলওয়ে লাইনের মাঝে মজুদ করে রাখা হয় ওই বোমা। তারপরে আর কালবিলম্ব না করে সকলেই সেখানে ওই প্রত্যক্ষদর্শীদের চিৎকার শুনে ছুটে আসে। মুহুর্তের মধ্যে আতঙ্ক।

স্থানীয় এক মহিলা বলেন, তার গৃহবধূ রেশন ধরতে রেল বরাবর গিয়েছিল। এমনসময় লাইন পার হতে গিয়ে পায়ে হালকা স্পর্শ লাগে। সেখানে উপস্থিত কিছু কর্মীকে দেখা সে জানায় বিষয়টি। তাঁর দেখতেই মুহূর্তেই বোঝে এটাট বোমা। সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর পৌছয়। আসে পুলিশ বলে জানায় ওই মহিলা। খবর চাউর হতেই তা পৌঁছে যায় স্থানীয় পুলিশ থেকে শুরু করে রেলপুলিশ এবং বম স্কোয়াডের কাছেও।  এরপর আরপিএফ ও লালগোলা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গোটা এলাকা এরপর ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। আরপিএফ বোমাটিকে উদ্ধার করে রেলগেট সংলগ্ন পুকুরে পাশে কোনরকমে নিয়ে গিয়ে একটি পাত্রের মধ্যে রাখে। কিভাবে প্রকাশ্য এলাকায় এভাবে রেল লাইনের মাঝে বোমা এসে পৌছালো তা নিয়ে রীতিমতো রহস্য দানা বেঁধেছে। একাধিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে কি সীমান্তে নাশকতার উদ্দ্যেশে রেললাইনের উপর বোমা রাখা হয়েছিল। অথবা এলাকায় কোন গোষ্ঠী কি সক্রিয় হয়ে নতুন করে কোনো পরিকল্পনা তৈরিি করছে। যদিও সেই সব প্রশ্ন নিয়ে এখনোও কোনো মহলের তরফ এ কিছু জানানো হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, 'আমরা প্রতিনিয়তই এই রেল লাইনের ধার ধরে পাশের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি, এইরকম কান্ড কে কি করে ঘটল তা বুঝে উঠতে পারছিনা। অবশ্যই এর জোরালো তদন্তত করা প্রয়োজন, না হলে আগামী দিনে বড়োসড়ো কোনো কান্ড ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তখন তার দায় কে নেবে"।