সংক্ষিপ্ত

  • অবশেষে গ্রেফতার,পুলকার  চালক পবিত্র দাস 
  • এই ঘটনার পর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল  
  • হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই  গ্রেফতার করে পুলিশ 
  • পবিত্র- শামীমকে মুখোমুখি রেখে জেরা করা হবে  

পোলবা পুলকার কাণ্ডে এবার গ্রেফতার চালক পবিত্র দাস। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লি রোডে  যে পুলকার অ্যাকসিডেন্ট হয় তার চালক ছিল এই পবিত্র । ঘটনার পর থেকে সে আহত হয়ে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে ভর্তি ছিল। গতকাল রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া মাত্র তাকে গ্রেফতার করে পোলবা থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন, শিবের দয়া, নিমগাছ থেকে বের হচ্ছে 'দুধ', গ্রামজুড়ে শোরগোল

উল্লেখ্য গত ১৪ তারিখ সকালে  শ্রীরামপুর থেকে চুচূড়ায় একটি বেসরকারী স্কুলে আসার পথে  পোলবার কামদেবপুরে দুর্ঘটনায় পড়ে একটি পুলকার। অভিভাবক এবং পড়ুয়া-সহ মোট ১৪ জন ছিল ওই পুলকারে। দিল্লী রোডের ধারে একটি নয়ানজুলি তে উল্টে পড়ে গাড়িটি। বেশ কয়েকজন পড়ুয়া ওই ঘটনায় জখম হন । এখনও এসএসকেম হাসপাতালে সংকট জনক অবস্থায় রয়েছে দুই ক্ষুদে পড়ুয়া দিব্যাংশু ও ঋষভ। গাড়ীর চালক ও কল্যাণী তে ভর্তি । তদন্তে নেমে পুলিশ নিশ্চিত হয় পুলকার অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চালাতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা হয়েছে। তদন্তের গভীরে গিয়ে পুলিশ দেখে ওই পুলকার টির মালিক সেখ শামীম নিজে ড্রাইভিং করলেও হাফ রাস্তায় গিয়ে অন্য এক যুবক কে ড্রাইভিং করতে দিয়ে দেন। এবং এই জিনিস রোজই চলতে থাকতো। এবং সেই বদলি ড্রাইভার বেপরোয়া ভাবে ওই গাড়ি চালাতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে। 

আরও পড়ুন, বাড়তে চলেছে পুলকারের খরচ, নয়া নিয়ম আনছে রাজ্য পরিবহন দফতর


সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে পবিত্র দাসকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের জন্য় আবেদন করা হয়। কিন্তু শেষ অবধি চুচূড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট -র তরফে ৫ দিনের জন্য় মঞ্জুর করা হয় । তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ ধারা , ৩৩৭ ধারা , ৩৩৮,৩০৮ এবং ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে । উল্লেখ্য গত ২১ তারিখ ওই পুলকারের মালিক শেখ শামীম আখতারকে গ্রেফতার করে  সিজিএম কোর্টে নিয়ে চারদিনের পিসি নিয়েছিল পুলিশ। এরপর গতকাল তাকে ফের আদালতে তুলে ৫ দিনের রিমান্ড নেয় পোলবা থানার পুলিশ। এদিন পোলবা থানার বড়োবাবু অনিল রাজ বলেছেন, ওই দুজন কে মুখোমুখি রেখে জেরা করা হবে এবং ঘটনার পুনর্নির্মাণ ও করা হবে।

আরও পড়ুন, ট্রেনে ট্রাভেল ব্যাগে যুবকের দেহ, 'জরুরি ডাক' দিলেন সাফাইকর্মীরা