সংক্ষিপ্ত

কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে পরীক্ষা, বিভ্রান্তী দূর করতে এবার পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। অনলাইন নাকি অফলাইন, কীভাবে শেষ অবধি কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিষ্টারের হবে, এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল রাজ্য সরকার।

কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে পরীক্ষা, বিভ্রান্তী দূর করতে এবার পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। অনলাইন নাকি অফলাইন, কীভাবে শেষ অবধি কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিষ্টারের হবে, এনিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। আর এবার সমাধান করতে পদক্ষেপ নিল রাজ্য। বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে পরীক্ষা হবে, সেটা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কীভাবে নেওয়া হয়, এই সিদ্ধান্তভার সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে ছাড়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধা মেনে এই সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।

রাজ্য সরকারের উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে উপাচার্যদের চিঠি দিয়ে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে। যেখানে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া হবে, সংশ্লিষ্ট বিশ্লবিদ্যালয়ের উপর ছাড়া হয়েছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধা মেনে এই সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, একাধিক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন চলছিল। সেই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতেই পরীক্ষার নিয়ম বিধি স্পষ্ট করল রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন, বউবাজারকাণ্ডে মুখ খুললেন মেট্রো কর্তা, 'স্থায়ী সমাধান চাই', সরব ফিরহাদ

 প্রসঙ্গত, এই পরীক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে মাঝে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। যাদবপুরে অনলাইনে পরীক্ষা হলে সরে দাঁডা়বেন সব অধ্যাপক। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেয় সম্প্রতি জুটার। দেখতে দেখতে পেরিয়ে যায় প্রায় ৫০ ঘন্টা। এদিকে তারপরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দাবিতে অনঢ় থেকে আটকে থাকেন সহ উপাচার্য- সহ অধিকাংশ অধ্যাপক। কিন্তু কথা হচ্ছে রাজ্যের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ার পরও কী কারণে অনলাইনে পরীক্ষা দিতে চাইছে ছাত্র-ছাত্রীদের দল। 

আরও পড়ুন, 'আমি পাগল নই, নাটক করিনি, প্রমাণিত', আত্মহত্যার মামলায় কুণালকে দোষী সাব্যস্ত করল কোর্ট

উল্লেখ্য, রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ থেকে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছে। খুলেছে বাংলার তামাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কম্পালসারি ট্রেনিং এর জন্য অনেক পড়ুয়াই মেস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছে, তাঁদের পক্ষে হোস্টেল না পেলে এখন অফলাইন পরীক্ষা দেওয়াটা সম্ভব নয়। অভিযোগ এই বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেও কোনও সমাধান মেলেনি। এদিকে যাদবপুরে অনলাইনে পরীক্ষা হলে সরে দাঁডা়বেন সব অধ্যাপক, সাফ জানিয়েছে জুটা।  ঘটনা এর পরেই মোড় ঘুরেছে। 

আরও পড়ুন, 'নোবেল পাওয়ার ক্ষমতা রাখেন মমতা', ফের বিস্ফোরক দিলীপ

 অফলাইন যাদবপুরের পরীক্ষা দিতে চাওয়ার দাবিতে অনড় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুায়াদের একাংশ।   উপাচার্য এবং অধ্যাপকদের ঘেরাও করা হয়। ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও অবস্থান থেকে নড়েনি সম্প্রতি পড়ুয়ার দল। অসুস্থ হয়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বেরিয়ে গেলেও আটকে যান সহ উপাচার্য- সহ অধিকাংশ অধ্যাপক।  বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব স্টাডিস চায় পরীক্ষা হোক অফলাইনে। অপরদিকে ছাত্ররা চান অনলাইনে। এই দুই টানাপোড়ের মাঝেই জুটা বেনজির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।