সংক্ষিপ্ত

পুলিশ জানিয়েছে, পরেশের সঙ্গে বাবা ও মায়ের অশান্তি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। তাতেই পরেশের বাবা বাড়ির দলিত ও গয়না নিয়ে বাড়ি ছাড়ে। মায়ে নিয়ে চলে যায় বোনের বাড়িতে। এপর পরেশের স্ত্রীও দুই মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে চলে যায় বাবার বাড়ি। 

পারিবারিক আশান্তির (Family Problem) কারণে আগেই ছেলের বাড়ি ছেড়়েছেন বাবা ও মা। তারপরে সন্তানদের হাত ধরে বাপের বাড়ি চলে গেছেন স্ত্রী। প্রবল একাকীত্ব, রাগ, দঃখ আর অমপান- এইসব সহ্য করতে না পেরে নিজের বাড়িতেই আগুন (Fire) ধরিয়ে দিলেন ব্যবসায়ী। পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) দাসপুরের (Daspur) খেজুরতলারর ঘটনা। 

সাতমাথা-খেজুরতলা একারা বাসিন্দা পরেশ মণ্ডল। পেশায় আলু ব্যবসায়ী। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পরেশের বাড়ি থেকে আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। তারপরই স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান পরেশের বাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রান্নাঘরের দুটি গ্যাস সিলিন্ডার পরপর বিস্ফোরণ হয়। তাতে নাকি পরেশই আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। 

পুলিশ জানিয়েছে, পরেশের সঙ্গে বাবা ও মায়ের অশান্তি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। তাতেই পরেশের বাবা বাড়ির দলিত ও গয়না নিয়ে বাড়ি ছাড়ে। মায়ে নিয়ে চলে যায় বোনের বাড়িতে। এপর পরেশের স্ত্রীও দুই মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে চলে যায় বাবার বাড়ি। 

কিন্তু তাতেই স্বস্তি পায়নি পরেশ। বোন ও বোনের স্বামী প্রায়ই পরেশকেই দায়ি করতে বাবা-মায়ের বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য। অন্যদিকে পরেশের মেয়েরও বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু স্ত্রী মেয়ের বিয়ের আগেই বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তাতেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে পড়েন ব্যবসায়ী। সেই কারণেই প্রবল রাগ থেকেই বাড়িতেই আগুন লাগিয়ে দেয় তিনি। 

তবে পরেশে জানিয়েছেন, আগুন লাগিয়ে দেওয়ার আগে নিজের হাতে খিচুড়ি আর চচ্চড়ি রান্না করেছেন তিনি। তারপর তা খেয়ে তারপরই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। কিন্তু বাড়িতে আগুন লাগিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন বলে তাঁর কোনও চোট আঘাত লাগেনি। বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবে সুস্থই রয়েছেন।