সংক্ষিপ্ত

রাজ্যে সাধারণত ১০০-১০৫ লক্ষ টন আলু উৎপাদন হয়। এ বারে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দক্ষিণবঙ্গে আলু উৎপাদন মার খেয়েছে। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গে ব্যাপক ফলন হওয়া সত্ত্বেও পরিস্থিতি সামলানো যায়নি। আলুর দাম বেড়েছে।

ঊর্ধ্বমুখী আনাজের দাম, হাত পোড়াচ্ছে চালের মুদ্রাস্ফীতিও। সামগ্রিক ভাবে মার খেয়েছে ধান ও আলুর উৎপাদন। ফলে দাম বেড়েছে চাল ও আলুর। কৃষি দফতর সূত্রে বলা হচ্ছে, খারিফ মরসুমে প্রথম কয়েক মাসে বৃষ্টির তেমন দেখা না মেলায়, আমনের উৎপাদন নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়। অন্য কয়েকটি রাজ্যেও বৃষ্টির অভাবে ধানের ফলন মার থেয়েছে। এ বছর বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে একের পর এক মার খেয়েছে ধানের উৎপাদন। বোরো ধানের উৎপাদন হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার থেকে ১৫% কম। সব মিলিয়ে চালের দাম বাড়তে থাকে। গত ছ’মাসে নানা ধরনের চালের দাম প্রতি কেজিতে ৫-১৫ টাকা করে বেড়েছে।

কৃষি দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যে সাধারণত ১০০-১০৫ লক্ষ টন আলু উৎপাদন হয়। এ বারে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দক্ষিণবঙ্গে আলু উৎপাদন মার খেয়েছে। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গে ব্যাপক ফলন হওয়া সত্ত্বেও পরিস্থিতি সামলানো যায়নি। আলুর দাম বেড়েছে। ফলন অত্যধিক হওয়ায় হিমঘরে রাখতে পারেননি একাধিক চাষি। এ রাজ্যের ১৫-২০ শতাংশ আলু ভিন রাজ্যে রফতানি হত। এবার দাম বেশি হওয়ায় সেখানে জায়গা করে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও অন্যান্য রাজ্যের আলু। 

আরও পড়ুন- গতকালের তুলনায় আরও সস্তা হল সোনা, রূপোর দাম ও কমে গেল একধাক্কায়, আজকের দর কত

এদিকে, সম্প্রতি বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ায় আনাজের জোগান কমেছে। দামে তার প্রভাব পড়ছে। দক্ষিণবঙ্গের নানা বাজারে ছোট আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। ব্যবসায়ীদের অনেকের আশঙ্কা, পুজোর সময়ে তা ৫০ টাকায় দাঁড়াবে। যে পটল বা ঢেঁড়শের দর মাসখানেক আগে কেজি প্রতি ২০ টাকা ছিল, তা এখন ৩৫-৪০ টাকা। কেজি প্রতি বেগুন ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা হয়েছে। পুজোয় চাহিদা মাথায় রেখে অনেক চাষি এখন ফুলকপি, বাঁধাকপি চাষ করেন। বৃষ্টিতে ফলন মার খাওয়ায় জোগান কমছে বলে দাবি তাঁদের।

আরও পড়ুন 'ই-নাগেটস' গেমের মাধ্যমে কোটি টাকার প্রতারণা, ইডির তদন্তে ফাঁস হল গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর টাকার উৎস

জানা গিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে আগস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ভারতের খুচরা মূল্যস্ফীতি আগস্টে সাত শতাংশে পৌঁছেছে, যা জুলাই মাসে ছিল ৬.৭১ শতাংশ। একই সময়ে যা গত বছরের আগস্টে ছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। জেনে রাখা ভালো যে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি টানা আট মাস ধরে RBI-এর লক্ষ্য ব্যান্ড ছয় শতাংশের উপরে রয়েছে। যাইহোক, পাঁচ মাসে দ্বিতীয়বার এটি সাত শতাংশের নিচে নেমে গেছে।

আরও পড়ুন - পাইকারি মূল্যের মূল্যস্ফীতি ১১ মাসের সর্বনিম্ন, অগাষ্টে নামল ১২.৪১ শতাংশে

তথ্য অনুসারে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি আগস্টে ৭.৬২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা জুলাইয়ে ৬.৬৯% এবং ২০২১ সালের আগস্টে ৩.১১% ছিল। এদিকে, সোমবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে ভারতের শিল্প উৎপাদন ২.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। IIP জুলাই ২০২১ এ ১১.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।