সংক্ষিপ্ত
- ফণী নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা
- রাজ্যের পরিস্থিতি জানাচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর
- জয় শ্রীরাম প্রসঙ্গ তুলেও মমতাকে বিঁধলেন মোদী
পশ্চিমবঙ্গে ভোট প্রচারে এসে এবারে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয় শ্রীরাম কাণ্ড নিয়ে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী. সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি বিতর্কিত ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। বিজেপি শিবির অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশ থেকে কয়েকজনকে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুনে ক্ষুব্ধ হন ওঠেন মমতা। এ দিন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে প্রচারে এসে সেই প্রসঙ্গই তোলেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, ফণী প্রসঙ্গ তুলেও এ দিন মমতার বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ফণী পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে চাইলেও মমতাকে পাননি। এমনকী তাঁর সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাবও খারিজ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। কটাক্ষের সুরে বললেন, মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জ আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করলেও ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে তাতে খুশি হয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একনজরে দেখে নিন মমতাকে বিঁধে ঠিক কী কী বললেন প্রধানমন্ত্রী-
- ফণী ঘূর্ণঝড়ের পরে কথা বলার জন্য দিদিকে ফোন করেছিলাম, কিন্তু দিদিকে পাইনি. আশা করেছিলাম তিনি ফোন করবেন, কিন্তু অহংকারী দিদি তা করেননি। ফের ফোন করেছিলাম, কিন্তু তারপরেও দিদিকে পাইনি।
- ফণী পরিস্থিতি নিয়ে আজ সকালেও এখানকার প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম, ভারতের সরকারের পক্ষ থেকে কী সাহায্য লাগবে জানতে চেয়েছিলাম।
- কিন্তু স্পিড ব্রেকার দিদি সেটাও হতে দেননি। তার পরেও আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা সামলে ওঠার জন্য রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র সবরকম সাহায্য করবে।
- রাষ্ট্রপুঞ্জ মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ করায় গোটা দেশ গর্বিত, কিন্তু দিদি একটা কথাও বলেননি। কারণ ওনার ভয় ছিল মাসুদ আজহার কিছু বললে ওনার ভোটব্যাঙ্ক ধাক্কা খেতে পারে।
- দিদির এই ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতিই তাঁর পায়ের তলার মাটি সরিয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতি যে ভগবানের নামও শুনলেও তিনি রেগে যাচ্ছেন। সেই জন্যই যাঁরা জয় শ্রীরাম বলছেন, তাঁদেরকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠাচ্ছেন দিদি। এই কারণেই পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পুজো করতে বাধা পান, ব্রত রাখতে পারেন না।
- পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যারা ধ্বংস করছে, তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়াই একমাত্র শাস্তি। জগাই-মাধাই সিন্ডিকেট, ট্রিপল টি ট্যাক্সের মোকাবিলা করার কোনও শক্তি এতদিন কেউ ছিল না, এবার বাংলায় বিজেপি সেই শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে।
- নামপন্থী, বামপন্থী, দমনপন্থী আর উন্নয়নপন্থী- এই চারধরনের রাজনীতিকরা দেশে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে প্রথমে নামপন্থী এসেছে, পরে বামপন্থীও এসেছে আর এখন দমনপন্থীদের অত্যাচার সহ্য করছেন আপনারা। এবার উন্নয়নপন্থী বিজেপি-কে একটা সুযোগ দিয়ে দেখুন।
- পদ্ম চিহ্নে আপনার একটি ভোট স্পিডব্রেকার দিদির উপরে চাপ বাড়াবে। নামপন্থী, বামপন্থী, দমনপন্থীদের মহাঘোটালা জোটে ঘুম কেড়ে নেবে।
একই সঙ্গে রাজ্যে বিজেপি-র জন্য নতুন স্লোগান তুলে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। তমলুকের সভা থেকে তিনি বলেন, "চুপচাপ পদ্মে ছাপ, বুথে বুথে তৃণমূল সাফ।"