সংক্ষিপ্ত

পুজোমণ্ডপে নির্দিষ্ট দূরত্বে বসেই পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার নির্দেশিকা জারি। পুরোহিতের মন্ত্র যাতে দূর থেকে শোনা যায় তার জন্য মণ্ডপগুলিতে মাইক্রোফোনের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

নবান্ন (Nabanna) ও কোর্টের (Calcutta Highcourt) আদেশ পালনে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জুড়ে একাধিক নির্দেশিকা (Rules)জারি। প্রচন্ড তৎপরতার সাথে নবান্ন ও কোর্টের আদেশ পালনে রবিবার (Sunday) গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের মধ্যে দিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে পুজোর মুখে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হল। পুজোমণ্ডপে নির্দিষ্ট দূরত্বে বসেই পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া থেকে শুরু করে, পুরোহিতের মন্ত্র যাতে দূর থেকে শোনা যায় তার জন্য মণ্ডপগুলিতে মাইক্রোফোনের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

পাশাপাশি পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার ফুলও বাড়ি থেকে আনতে হবে এমন একাধিক নির্দেশিকা করোনার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিস জারি করে এদিন। মুর্শিদাবাদ জুড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে কমবেশি ১২ হাজারের উপর পুজো হচ্ছে এই বছর। সেক্ষেত্রে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদিন জানানো হয়, নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে। অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। দর্শনার্থীদের সুবিধায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ২৭টি পুলিস অ্যাসিস্ট্যান্স বুথ করা হচ্ছে। এখানে এসে যে কোনও সমস্যার বিষয়ে জানানো যাবে।

তাছাড়া ১০০ নম্বর ডায়াল করেও সমস্যা জানানো যেতে পারে। বহরমপুর শহরে পুলিসের ১২টি ক্যাম্প থাকছে। মুর্শিদাবাদ শহরে চার, কান্দিতে দুই, খড়গ্রামে তিন ও নবগ্রামে দু’টি ক্যাম্প করা হচ্ছে। প্রতিটি থানা এলাকাতেই ক্যাম্প থাকছে। গত বছর বিসর্জন দিতে গিয়ে বেলডাঙায় পাঁচ যুবক জলে ডুবে মারা গিয়েছিলেন। সেই কারণে ঘাটগুলিতেও বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। বিসর্জনের দিন কোনও ঘাটেই অতিরিক্ত ভিড় করা যাবে না। শোভাযাত্রায় ডিজে বাজানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে। পু

জানানো হয়েছে পুজোর ফুল ও বেলপাতা নদীতে ফেলা যাবে না। ১৫, ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর বিসর্জনের দিন ঠিক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, করোনার ধাক্কায় এবারও জেলার কোথাও বিগ বাজেটের পুজো হচ্ছে না। প্রতিটি পুজো কমিটিই বাজেট কমিয়েছে। তবে, অল্প বাজেটেই শহরের তিন চারটি পুজো কমিটি থিম তৈরি করে চমক দিতে চেয়েছে। পঞ্চমীর সন্ধ্যা থেকেই পুজো উদ্বোধন শুরু হয়ে যাবে। উদ্বোধনের সময়ও ভিড় না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

শনিবার থেকে বহরমপুর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। শহরে দ্রুতগতিতে বাইক চালালে পুলিস কড়া পদক্ষেপ নেবে। বৈঠক শেষে জেলার উচ্চ পুলিশ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানান,পুজো উদ্যোক্তাদের সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি সকলকেই মেনে চলতে হবে। পুজোমণ্ডপে ঢুকতে হলে প্রত্যেককেই মাস্ক পরতে হবে। প্রয়োজনে উদ্যোক্তারা মাস্ক দর্শনার্থীদের দেবেন"।