সংক্ষিপ্ত
প্রায় ৫০ মিটার এলাকাজুড়ে রেললাইনে ধস নামে। এর ফলে আজিমগঞ্জ-ফরাক্কা লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
ফের মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও ফরাক্কার মাঝে রেললাইনে ধস নামল। প্রায় ৫০ মিটার এলাকাজুড়ে রেললাইনে ধস নামে। এর ফলে আজিমগঞ্জ-ফরাক্কা লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ আহিরন হল্ট থেকে সুজনিপাড়া স্টেশনের মাঝে আচমকাই রেললাইনের নিচের মাটি সরে যায়। বন্ধ হয়ে যায় আজিমগঞ্জ-ফরাক্কা লাইনে ট্রেন চলাচল। এরপর কোনওরকমে ঘুরপথে ট্রেন চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থানে পৌঁছান রেলের আধিকারিকরা। টানা বৃষ্টির জেরেই ধস নেমেছে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে ধস মেরামত করা হচ্ছে।
এর আগে গত ৩০ জুলাই এই এলাকায় রেললাইনে ধস নেমেছিল। তখনও রেললাইনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। ফলে একই জায়গাতে বারবার ধস নামায় রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন- শুটআউট খড়দায়, তৃণমূল নেতার মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা
আরও পড়ুন- অস্বস্তি চরমে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে, আজ ভারী বৃষ্টির কমলা সর্তকতা, প্রবল বর্ষণ দুই বঙ্গে
এদিকে শুক্রবার দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মেট্রো লাইনে আচমকা ধস নামে। প্রায় ২০০ মিটার এলাকা জুড়ে ধস নামে। অফিস টাইমে এই ধস নামার ফলে দেখা যায় সমস্যা। তবে ধীর গতিতে ওই লাইন ধরে চলাচল করছিল মেট্রো।
আরও পড়ুন- কীভাবে বেলুড়ে পালিত হবে দুর্গাপূজো, সূচি প্রকাশ করল বেলুড় মঠ
আরও পড়ুন- কাদা জল দিঘার সমুদ্রে, স্নান না করে 'মনখারাপ' নিয়েই বাড়ি ফিরছেন পর্যটকরা
মেট্রো রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক রূপায়ণ মিত্র বলেন, "বৃষ্টির জন্য ওই এলাকার মাটি ধসে গিয়েছে। এটাকে ধস বলা যায় না। আমাদের নজরে আসা মাত্রই কাজ শুরু হয়ে যায়।" তবে পরিষেবায় কোনও সমস্যা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ধসের ফলে ক্ষতি হয় বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিসিআর ব্রিজের পিলারে। বোল্ডার নিয়ে ধস মেরামত করা হয়।
আরও পড়ুন- বাসের ধাক্কায় তছনছ বরযাত্রীর গাড়ি, ফলতায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত তিন শিশু সহ ৫
টানা বৃষ্টির ফলে পাহাড়ের পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক জায়গাতেই ধস নামছে। কয়েকদিন আগে পুরুলিয়ার সাপুই নদীর সেতুতে ধস নেমেছিল। এরপর সেই ধস মেরামত করা হয়।